সুমন আহমেদ : মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে জনপ্রিয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান সেলিম।
বিগত সময়ে যারা পৌরসভার মেয়র ছিলেন তারা কেউই উল্লখ্য যোগ্য উন্নয়ন করতে না পারায় সুবিধা বঞ্চিত পৌরবাসীরা। তাই কাঙ্খিত উন্নয়নের নিশ্চয়তা চান তারা।
সেক্ষেত্রে তৃণমূলের ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্কের সেতুবন্ধন রচনা করতে পারবেন, উন্নয়নের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারবেন অবহেলিত ছেংগারচর পৌরসভাকে এমনই একজন প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের আলোচনায় ঠাঁই করে নিয়েছেন মাহবুবুর রহমান সেলিম। তারা মনে করছে সেলিম একজন সৎ, ভালো ও যোগ্য ব্যক্তি। সে মেয়র হলেই অবহেলিত এ পৌরবাসীর সকল চাহিদা সম্পন্ন হবে।
সোমবার ১৯ জুন বিকেলে ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে সাংবাদিকদের জানান, ছেংগারচর পৌরসভায় আমি প্রার্থী হতে চাইনি, হয়েছি সাধারন মানুষদের অনুরোধে।
এসময় তিনি বলেন, এ পৌরসভায় তেমন কোন উন্নয়ন নেই বললেই চলে। ভাঙা রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপ্রতুল, আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান নেই, নেই পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। নানা সমস্যায় জর্জরিত।
আমি আপনাদের দোয়ায় মেয়র নির্বাচিত হলে,সব সমস্যা সমাধান করে আধুনিক নাগরিক সুবিধা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিবো পৌরবাসীর মধ্যে। উন্নয়নের সুফল তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে একটি মডেল পৌরসভা গঠনই আমার লক্ষ্য। তাই সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
সবগুলো ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লার অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা, পৌর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ভাঙা, কার্পেটিং উঠে রাস্তায় খানাখন্দক সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে অনেক স্থানে পানি জমে থাকে।
পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পানি সরবরাহের পাইপ স্থাপন হলেও সুপেয় পানিসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য পানির ব্যবস্থাও নেই। পৌর এলাকার রাস্তায় লাইট না থাকায় রাতের বেলা চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সব মিলিয়ে নানান সমস্যায় জর্জরিত পৌরসভার মানুষ।
পৌর এলাকার প্রতিটি সড়ক আলোকিত করতে সড়কে লাইট স্থাপন করবো। কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণ, মহল্লার রাস্তাগুলো আরসিসি ঢালাই, রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধনে প্রকল্প গ্রহণ, পৌর এলাকায় যানবাহন চলাচলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নের পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতসহ শতভাগ শিক্ষার আলোয় আলোকিত করবো।
তরুণ যুবসমাজকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে নিয়মিত ক্রীড়া চর্চায় উৎসাহ ও সহযোগীতা করে মাদকমুক্ত সমাজ গড়বো।
পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করাসহ উন্নয়নের সুফল জনগণের দ্বারে পৌঁছে দিতে কাজ করবো। করোনাকালীন সময়ে পৌরসভার অসহায় দু:স্থ্য মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় পাশে যেভাবে ছিলাম সেরকম সবসময় পাশে থাকবো।
খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী ও সর্বস্তরের মানুষ চান আমি যেন মেয়র হই।
আমরা দেখেছি যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ছেংগারচর প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানকার নাগরিকরা সব রকমের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
আমি মেয়র নির্বাচিত হলে ছেংগারচর কে আধুনিক ও স্মার্ট পৌরসভায় রুপান্তর করব ইনশাআল্লাহ। আমি আশাবাদী সকলের দোয়া ও সহযোগিতা পেলে পৌরবাসীর স্বপ্ন পূরন হবে।