প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ “সংস্কৃতি সমাজ প্রগতির অনন্য বাহন “এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের গৌরবের দুই দশক চলছে। লোকজ সংস্কৃতি ধারার অন্যতম বাহন বাঁশি। বাঁশিই সংগীতের প্রধান বাহন হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। তাই বাঁশির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরতে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর চাঁদপুরের ইতিহাসে প্রথম বাঁশি উৎসব চাঁদপুরের ত্রিনদীর মোহনা বড়স্টেশন মোলহেডের জনাকীর্ণ স্হানে অনুষ্ঠিত হয়।
এবারে দ্বিতীয়বারের মতো বাঁশি উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৮ এপ্রিল,শুক্রবার বিকাল ৩ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে।
বাঁশি উৎসবে চাঁদপুর জেলাসহ বিভিন্ন জেলার বাঁশিবাদকগণ বাঁশি বাজাবেন।
বাঁশি উৎসবে গতবার যারা বাঁশি বাজিয়ে অনুষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং অতীতে চাঁদপুরে বাঁশি বাজিয়ে সংস্কৃতি অঙ্গনকে উর্বর করেছেন এদের মধ্যে যারা এখন আর বেঁচে নেই তাদেরকে দেয়া হবে মরনোত্তর সম্মাননা।
এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে থাকছে বাঁশিভিত্তিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, চিত্রাঙ্কণ ও সাধারণজ্ঞান প্রতিযোগিতা।
এবারে বাঁশি উৎসবের উদ্বোধন করবেন চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর কমান্ডার ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধানঅতিথি হিসেবে থাকছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা শাহনাজ।
সমাপনী অধিবেশনে প্রধানঅতিথি হিসেবে থেকে আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরণ করবেন, চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। এ ছাড়া চাঁদপুরের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গণের নেতৃবৃন্দ অতিথি হিসেবে থাকছেন।
বাঁশি উৎসবে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সফল করতে সকলের প্রতি অনুরোধ করেন জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বাঁশি উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক মোশারেফ হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাছানাত নয়ন।