স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। যার হাত ধরে অবরুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার তিনি। তাঁর নেতৃত্বে দরিদ্র্যতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিশ্বে বাংলাদেশ আজকে যে সুনাম সুখ্যাতি অর্জন করেছে তার সবটুকু কৃতীত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার। ২৮ সেপ্টেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিন।
এমন এক মহিয়সী নারীর জন্মদিন। যিনি বাঙ্গালী নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃত। এ দেশের মেয়েদের দমন করে রাখা যায়না। তারাও যে কিছু করতে পারে এ শিক্ষা তার মাধ্যমেই এসেছে। সকল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস উপেক্ষা করে যিনি ক্ষমতায় এসেছেন। পিতার যোগ্য সন্তান তিনি আর কেউ নন, জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শেখ হাসিনার জন্মদিন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য আশীর্বাদ। তিনি শক্ত হাতে বাংলাদেশের হাল না ধরলে আমরা আজকের এই কাঙ্খিত স্বদেশ পেতাম না। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী ও ৭৬ তম জন্মদিন। আল্লাহ অশেষ রহমতে বঙ্গবন্ধু কন্যা এখনো সুস্থ আছেন এবং দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন সুদক্ষ হাতে।
বহুবার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। থামিয়ে দিতে চেয়েছে স্বাধিনতা বিরোধী চক্র। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বহুবারে হামলা হলেও আল্লাহ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। মৃত্যু ভয় তোয়াক্কা না করে জীবন বাজী রেখে জনগনের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করেছেন সবসময়। তার ৭৫ বছরের জীবনে অনেক চড়াই উতরাই প্রতিবন্ধকতা দুঃখ কষ্ট নির্যাতন নিপীড়ন ষড়যন্ত্র মামলা হামলা মিথ্যাচার মোকাবেলা করে তিনি রাজনীতি করেছেন এতে বিন্দুবৎ সন্দেহ নাই।
আজ জননেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করতে চাই। তার অবদান সম্পর্কে সাধারণ মানুষ এবং তরুণ প্রজন্মের জানা জরুরি।শেখ হাসিনা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি, তার সংগ্রামী জীবন বঙ্গবন্ধুর মতই। বিশেষ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে বাবা-মা, ভাই, ভাবি, মামা হারানোর পর বাংলাদেশে তাঁর ফিরে আসাটাই অকল্পনীয় ব্যাপার। এরপর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিঃচিহ্ন করার পায়তারা করা হয়। শেখ হাসিনা সেই সময় জার্মানি ও ভারতে আশ্রয়প্রার্থী হয়ে দিন কাটান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িত হয়ে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। পিতা বঙ্গবন্ধু তার সমস্ত জীবনের আদর্শ এবং পথ চলার বাতিঘর। পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১৯৬৭ সালে। সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ তাঁর সন্তান। তারা দু”জনই আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে কর্মের দ্বারা পরিচিত।
আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আমি তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করি তিনি যেন বাংলাদেশকে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পারেন। সাহাদাত গাজী সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সদর থানা যুবলীগ ও বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।