অমরেশ দত্ত জয়ঃ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ব্যবহার অনুপযোগী টয়লেট, অপ্রতুল বেড সংখ্যা, বিশুদ্ধ পানির অভাব দীর্ঘসময় এমন অবস্থা ছিল ২৫০ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের। তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় পদে ডাঃ এ কে এম মাহাবুুবুর রহমান যোগদানের পর থেকেই তার প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে হাসপাতালের সেবাসহ অন্যান্য চিত্র।
২’রা ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকালে হাসপাতালে গিয়ে এর আমূল পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। হাসপাতালের স্টাফরা জানায়, সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় দিন দিন হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এতে করে আশার আলো দেখছেন সবাই।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, জনবল কম থাকলেও হাসপাতালে নিযুক্ত চিকিৎসক নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রোগীদের সেবার কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালের ভেতরে–বাইরে ঝকঝকে–চকচকে। কোথাও নেই ময়লা–আবর্জনা। নেই কোনো দুর্গন্ধ।
খোঁজ-খবর নিয়ে আরও জানা যায়, চিকিৎসক, কর্মকর্তা–কর্মচারী—সবাই সময়মতো হাসপাতালে আসেন। সরকারি হাসপাতাল নিয়ে রোগীদের যে বিস্তর অভিযোগ তা চাঁদপুর সদর হাসপাতালে কমে এসেছে। নতুন বছরের শুরুতেই হাসপাতালটিতে আমূল এই পরিবর্তন এসেছে। এর নেপথ্য নায়ক একজন চিকিৎসক। তিনি হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান।
তিনি এই হাসপাতলে চার মাস হলো জয়েন করার পর থেকে হাসপাতালে সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিবর্তন এনেছেন। চিকিৎসক নার্স ওয়ার্ডবয় আয়াসহ হাসপাতালের সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালনের জন্য তদারকি করছেন।
ডাক্তার এ কে এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রমের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই তার প্রধান লক্ষ্য। তিনি সেই মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছেন। চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে সময়মতো হাসপাতালে আসে এবং যায় তা নিশ্চিত করা উদ্যোগ নিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান। কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে ব্যবস্থা নিবেন।
হাসপাতালের শীর্ষ এই কর্মকর্তা ডাক্তার এ কে এম মাহাবুবুর রহমান আরো বলেন, করোনা চিকিৎসার কারনে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় অনেক ক্ষেত্রে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর সাথে আছে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রতিনিয়ত হাসপাতালে নানান সমস্যা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হচ্ছে। সহসায় চালু করা হবে আইসিইউ। তবে দশ বেডের আইসিইউ করার পরিকল্পনা করছেন তিনি। হাসপাতালের স্যানিটেশন ব্যবস্থা আরো উন্নত করার বিষয় নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথেও কথা তিনি বলেছেন।
তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করছি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবাকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আন্তরিকতায় আমার কোন কমতি নেই। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসে কোনো রোগী ফিরে যাচ্ছেনা। তাদেরকে ফ্লোরে বিছানা দিয়ে হলেও চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আড়াই’শ শয্যার হাসপাতাল হলেও সাড়ে ৩’শ থেকে ৪’শ রোগীর প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা এই সংকটময় অবকাঠামোর মধ্যেও চালিয়ে নিতে হচ্ছে। আমার অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমি সকলের দোয়া চাই।