মতলব উত্তর প্রতিনিধি : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মোঃ ওয়ায়েছ কুরুনী সরকারের নিকাহ রেজিস্ট্রার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত লাইন্সেসটি বাতিল করে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৯মার্চ তারিখে আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুরাদ চৌধুরীর এক স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য পাওয়া যায়। তার এ নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাবিন নামা) পদ টি শূন্য হওয়ার পর ও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
এর কারন কি? এর কারন হিসাবে জানতে চাইলে কাজী ওয়ায়েছ কুরুনী সরকার এ প্রতিনিধিকে জানান, তার নিকাহ রেজিস্ট্রার লাইন্সেস বাতিল হওয়ার পর পুনরায় তাকে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাবিন নামা করার অনুমতি দেওয়া হয় কিন্তু তিনি দেখাতে পারেনি।
আরেকটি পত্রে জানা যায়, কাজী ওয়ায়েছ কুরুনী সরকারের নিকাহ রেজিস্ট্রার লাইন্সেস বাতিল হওয়ার পর বাগানবাড়ি ইউনিয়নের কাজী সালাউদ্দিনকে দূর্গাপুর ইউনিয়নে তিন মাস কাজ করার অনুমতি প্রদান করেন।
সূত্র থেকে জানা যায়, দুর্গাপুর ইউনিয়নে নতুন নিকাহ রেজিস্ট্রার সরকারিভাবে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী বাগানবাড়ি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী সালাউদ্দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দুর্গাপুর ইউনিয়নের কার্যক্রম করবেন।
কিন্তু, দুর্গাপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাবিন নামা করার লাইসেন্স বাতিল হওয়া কাজী ওয়ায়েছ কুরুনী ও তার ছেলে মেহেদী অবৈধভাবে এখনও কার্যক্রম চালাচ্ছেন যা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও আইন বিরোধী। আইনের বিধি অনুযায়ী তাদের লাইসেন্সের অনুমোদন পুনরায় না পাওয়া পর্যন্ত জনগণ যাতে তাদের কাছে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাবিন নামা না করেন।
এ বিষয়ে অর্থাৎ লাইসেন্স বাতিল হওয়ার বিষয়ে কাজী ওয়ায়েছ কুরুনীকে ফোন করে জানতে চাইলে, তিনি জানান এ বিষয়ে মামলা চলছে এবং তিনি বৈধ, তার কাগজপত্র আছে। কিন্তু কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও তিনি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
আর তার ছেলে মোঃ মেহেদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।এছাড়াও ছড়াচ্ছেন বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য যা ডিজিটাল আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে ফোন দিলে তিনি মিটিং এ আছেন বলে কল কেটে দেন।