অমরেশ দত্ত জয়ঃ নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে বিজয়ী সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করছেন চাঁদপুরের পুরানবাজারের গৃহবধু উদ্যোক্তা তানিয়া ইসতিয়াক খান। স্বামী আশিক খানের অনুপ্রেরণায় বিজয়ী সংগঠনে তানিয়া ইসতিয়াক খানের সদস্য এখন ১১ হাজার ছাড়িয়েছে।
২৫ অক্টোবর বুধবার হিলশা নিউজ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজয়ীর ১১ হাজার সদস্য সংখ্যা নিশ্চিত করেন তানিয়া ইসতিয়াক খান।
তানিয়ার স্বামী আশিক খান হিলশা নিউজ কে বলেন, বিজয়ী মূলত একটি উন্নয়ন সংস্থা। এটি টানা ২ বছর নানা বিষয়ে নারীদের সংঘবদ্ধ করতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে ফ্রী প্রশিক্ষণ দেয়। পরে ২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ মহিলা অধিদফতর থেকে “বিজয়ী” নারী উন্নয়ন সংস্থা নামে (রেজিষ্ট্রেশন নং- জেমবিককা/চাঁদ/ ১৫৩)) নিবন্ধন হয় এবং ২০২৩ সালে চাঁদপুর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর উপপরিচালকের কার্যালয় থেকে যুউঅ/চাঁদ/২০২৩-০৩ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করে। আমার সহধর্মীণির হাত ধরে নারীরা এখন নানাভাবে সাবলম্বী হচ্ছে দেখে আমার নিজের কাছেও ভালো লাগছে।
বিজয়ী নারী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তানিয়া ইসতিয়াক খান হিলশা নিউজ কে বলেন, আমরা নহে দেবী, নহে সামান্য নারী, আমরা নারী, আমরাই পারি, আমরাই বিজয়ী। এই স্লোগানে ২০২০ সালে এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু করি। এরপর থেকে নারীদের বিনামূল্যে হাতে কলমে প্রশিক্ষক এনে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বিভিন্ন হাতের কাজের প্রশিক্ষন দেই এবং তাদের তৈরি পণ্য প্রদর্শন ও বিপণনের সুযোগ করে দেয়ার ব্যবস্থা করি। এর পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে সার্বিক সহযোগিতা করছি।
তানিয়া ইসতিয়াক খান হিলশা নিউজ কে আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর বিজয়ী থেকে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রশিক্ষনগুলো হলো, উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় ও ব্যবসা পরিচালনা কৌশল, বেসিক স্কিন কেয়ার এবং হেলদি লাইফ স্টাইল, অনলাইন নেটওয়ার্ক মাকেটিং, বেসিক কেক বেকিং ইত্যাদী। এছাড়াও সংগঠনটি হতে সফল নারী উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা ও পদক দেয়া হয়। বিজয়ী হচ্ছে চাঁদপুরের নারীদের নিয়ে কাজ করা প্রথম ফ্রি প্রশিক্ষন বেইজ নারী সংগঠন। বিজয়ী এর সহযোগিতায় নারীদের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে স্বল্প ইন্টারেস্ট লোনের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। বিজয়ী থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের “বিজয়ী অ্যাওয়ার্ড” এর মাধ্যমে সনদপত্র ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। আমরা বিশ্বাস করি একজন নারী শুধু গৃহিণী নয় বরং নিজের সাহসী চেষ্টায় একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।