সুমন আহমেদ :মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর, কালিপুর, সুজাতপুর, নতুন বাজারে নিত্যপন্যের দাম নাগালের বাহিরে দিশেহারা সাধারন মানুষ। স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন বাঁচানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।খেটে খাওয়া মানুষের হাতের নাগালের বাহিরে বেগুন, শশা, পটল, ঢেড়স, মিষ্টি কুমড়া, ডাটা সহ সবরকম সবজির দাম। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে কাঁচা বাজারের পাশাপাশি মাছ মাংস দুধ ডিমের দাম। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের যেন বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। অনেকে হাটে এসে কাঁচা বাজার না করেই খালি ব্যাগ হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আবার কেউ বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বুধবার ছেংগারচর বাজারে দেখা যায়, কাঁচা বাজারে সবজির দাম শুনতেই নাভিশ্বাস নিচ্ছে ক্রেতারা। বাজারে বেগুন ৭০ টাকা, দেশী ছোট আলু ৬০ টাকা, বড় হলেন্ডার আলু ৩৫ টাকা, পটল ৮০টাকা, পেঁপে ১১০টাকা, গোল বেগুন ১০০টাকা, তরাই ৬০টাকা, কড়লা ৮০টাকা, পিঁয়াজ ৭০ টাকা,রশুন ১১৫ টাকা, আদা ২৪০টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার ৪০টাকা, পুইশাক ৩৫টাকা, শশা ৫০টাকা কেজি। অন্যদিকে রুইমাছ ২৮০টাকা, কাতলা মাছ ২৫০টাকা, সিলভার মাছ ২০০টাকা, টেংরা মাছ ৬০০টাকা, চিংরি ১১০০টাকা, পাংগাস ১৭০কেজি, দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস ৭৫০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
ফলে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতির জন্য মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। হাটে বাজার করতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষ তাজুল ইসলাম সাগর জানান, তিনি বাজার করতে এসে তরিতরকারির দাম শুনে হতাশ হয়ে বাজার সাধ্যের মধ্যে অল্প বাজার নিয়ে বাড়িতে ফেরত যাচ্ছেন। তিনি সারাদিনে কাজ করে পারিশ্রমিক পান মাত্র ৬শ টাকা, আর বাজারে এক কেজি বেগুনের দাম ৭০ টাকা,বএক কেজি সিলভারের মাছের দাম ২০০টাকা, আমরা গরীব মানুষ এতটাকা দিয়ে মাছ ও সবজি কিভাবে কিনে খাবে বলে চরম হতাশা হয়ে পড়েন তিনি। হাটে বাজার করতে আসা নুর মোহাম্মদ নামের আরেকজন।
অটোরিক্সা চালক এক ব্যক্তি বলেন, মাছের বাজারে গিয়ে আধা কেজি ওজনের মাছ কিনেছি ১৩০ টাকা দিয়ে, এক কেজি পটল কিনেছি ৮০ টাকা দিয়ে। যেভাবে দিন দিন তরিতরকারির দাম বাড়ছে তাতে মানুষের বাজার করে খাওয়া বেশদায় হয়ে পড়েছে।কালিপুর বাজার কাঁচা সবজি ব্যবসায়ী জানান,তারা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে মাল কিনে খুচরা দামে বিক্রি করছেন। তাদের কাছে পাইকারি বাজারে করলার দাম ধরা হচ্ছে ৯০ টাকা আর সেই কড়লা খুচরা বাজারে বিক্রি করছি ১০০ টাকা করে। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় তারা বেশি দামে মাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান।