... বিস্তারিত
পতিতাসহ চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোমেন আটক
গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাঁকে হাতিরঝিল থানা পুলিশের এসআই সুব্রত দেবনাথ দুই পতিতাসহ তাঁকে গ্রেফতার করে।
এ সময় ঐ ফ্লাটের মালিক পতিতা ব্যবসা পরিচালনাকারী রোকসনা বেগম(৫০), আশিক চৌধুরী(২৫), যৌনকর্মী মিথিলা ওরফে মুহি ওরফে মুক্তা (১৭) এবং আকলিমা আক্তার ওরফে আনহা ওরফে আন্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে এস আই সুব্রত বাদী হয়ে আট জনকে আসামী করে হাতিরঝিল থানায় একটি পতিতাবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার অপরাধ ও মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইন ২০১২ এর ১২(১)/১৩ ধারায় একটি মামলা করেন।
যাহার মামলা নং-৩৯ তারিখ- ২৩/০১/২০২১ই। পরে তাদের জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হাতিরঝিল থানার বড় মগবাজার এলাকার বাসা নং ১৯৫/এ, ৫ তলা বি/৪ নং ফ্লাটে মোসাঃ রোকসানা (৫০) তত্ত্বাবধনে দেহ ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের অধিবাসী চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক একে এম আব্দুল মোতালেব। তিনি বিভিন্ন সময় ঐ ফ্লাটে তার ভক্ত সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান করতেন। এলাকাবাসী একাধীকবার প্রতিবাদ করেও এর কোন সুরহা করতে পারেনি।
গত ২৩ জানুয়ারি হাতিরঝিল থানায় অভিযোগ দিলে নয়াটোলা পুলিশ ফাড়ির এসআই সুব্রত দুই পতিতাসহ তাঁকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা ও বিদেশী মদ উদ্ধার করে পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্ত একেএম আবদুল মোতালেব চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়াইয়া ইউনিয়নের মৃত হাজী ইদ্রস মুন্সীর ছেলে। তিনি একসময়ে গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী থাকার সুবাদে অবৈধ টাকার পাহাড় বানানোর গুঞ্জন রয়েছে। নামে বেনামে তার রয়েছে শত শত কোটি টাকার সম্পদ। ঢাকাতে একাধীক বাড়িসহ অঢেল বিত্ত বৈভব।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ফার্মাস ব্যাংকের ত্রিশ কোটি টাকা আত্মসতের ঘটনায় জড়িত আবদুল মোমেন। ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন তিনি। এদিকে ঢাকায় পতিতাসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ধরা পরার ঘটনা চাঁদপুর ও কচুয়াতে জানাজানি হলে তাঁকে দল থেকে বহিস্কারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় একাধিক নেতা। তারা বলেছেন, যে নেতার চারিত্রিক অবস্থান এত নোংরা তার সাথে রাজনীতি করা যায় না। তার জন্য আজ দলের অনেক বদনাম হচ্ছে। তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করে জেলা আওয়ামী লীগকে কলংক মুক্ত করার দাবী স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই রউফ জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। ওসি তদন্ত মামলাটি নিজে তদন্ত করবেন।