মামুন হোসাইনঃ ফরিদগঞ্জ পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সোমবার (২৮ নভেম্বর)। ইউপি নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা উদ্বিগ্ন। এর আগে ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল ফরিদগঞ্জ পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনে বহিরাগতদের অস্রের ঝনঝনানি, ব্যাপক বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাসীবাহিনীর ১২ সদস্য আটক, কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি ও পাল্টাপাল্টি হামলা মামলার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় ভোটারদের এ উদ্বেগ।
গত ১৩ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন দুপুর বেলায় উপজেলা চত্বরে এবং আনারশ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন আহমেদ রাজন শেখের বাড়িতে ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন মিন্টু’র কর্মিদের উপর হামলার অভিযোগ উঠে।আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন, ৯ কেন্দ্রে ২১২২৭ জন ভোটার, চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭ জন ৬৯ জন প্রার্থীর পছন্দের প্রতীকে ইভিএম এ ভোট প্রয়োগ করবেন।
গত শুক্রবার ও শনিবার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ভোট নিয়ে অনেকের মন্তব্য জানা গেছে।
ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটার বলেন দেখেন না গত ইউপি নির্বাচনে কিভাবে ভোট হলো,সে অস্রের ঝনঝনানির আতঙ্ক এখনো আমরা ভুলিনি। বর্তমানে ও গত ১ সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন প্রার্থীদের বহিরাগত লোক এসেছে, বিভিন্ন এলাকায় অপরিচিত লোক ঘুরতেছে,আপনারা যেহেতু মাঠে আছেন, আপনারাতো নিজেরাই দেখতেছেন।আমাদের ভোট দিতে যাইতে মন চায় না,ভয়ের মধ্যে আছি।
ভোট দিতে গিয়ে কোন বিপদে পড়ি কিনা। রাস্তায় ব্যারেকিট হবে না,প্রশাসনকি আমাদের কি সে ভরসা দিতে পারবে? ইউপি নির্বাচনে ৯ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদপ্রার্থীরা। ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন নির্বাচন সুষ্ঠভাবে হবে। কোন ভয়ের কারণ নেই পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে।তিনি সকল ভোটারদের কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল ইউপি নির্বাচনে গাজিপুর,খুরুমখালী,উত্তর কড়ৈতলী, দক্ষিণ কড়ৈতলী, সাহাপুর এই ৫ টি কেন্দ্র সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে কেন্দ্র দখল করে, পরবর্তীতে সাহাপুর কেন্দ্র দখল করা মুহুর্তে ভোটারেরা কেন্দ্রের চারদিকে গাছ পেলে দিয়ে ব্যারেকেট প্রদান করলে আইনশৃংখলা বাহিনী সাহাপুর কেন্দ্র থেকে ২ টি পিস্তল ও তাদের বহনকারী ২টি গাড়ি থেকে ৫০ টি ধারালো অস্রসহ ১২ জনকে আটক করে।