মনির হোসেন খানঃ চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহি ও শতবর্ষী পুরনো পালবাজারের কাঁচা মালের আড়ত গুলোর সামনের সড়কটির বেহাল দশা। দীর্ঘ বছর ধরে এ সড়কটির এমন ভগ্ন দশা। পালবাজারের কাঁচা মালের এই আড়তগুলো বানিজ্যিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন।
চাঁদপুরের একমাত্র পাইকারি সবজির বাজার হলো এই পালবাজারের আড়ত গুলো। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৪৫ টি আড়ত ঘর নিয়ে এই ঐতিহ্যবাহি কাঁচা মালের পাইকারি বাজারটি সদরের ও প্রতিটি উপজেলার মানুষদের কাঁচা সবজি ও তরকারির চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে।
এই কাঁচা মালের আড়ত গুলোতে দেশের উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চল বিশেষ করে ভোলা, যশোর,বরিশাল, ঈশ্বরদী, এবং চাঁদপুরের আশ পাশের চরাঞ্চল হতে প্রতিদিন প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার সব ধরনের সবজি তরকারি, আলু, বরবটি, কইডা, দুন্দুল, বেগুন, ডাটা, মিষ্টি কুমড়ো, বেগুন, পুই শাঁক, লাল শাক সহ সব ধরনের সবজি ও কাঁচামাল নদী পথে ও সড়ক পথে পালবাজারের কাঁচামালের আড়ত গুলোতে আসছে। তবে অধিকাংশ সবজি নদী পথে এসে চৌধুরী ঘাটে নোঙর করে।
ফলে সেখান থেকে মাল আন লোড করে পালবাজার পর্যন্ত আনতে আড়তদাররা তাদের নিজস্ব বা ভাড়া করা রিক্সা ভ্যান গাড়ীই বেশি ব্যবহার করে থাকেন। এসব কাঁচা মালের আড়ত গুলোতে প্রতিদিন প্রায় ২৭/২৮ লাখ টাকার সবজি তরকারি বিক্রি হয়।
উপজেলার প্রতিটি বাজারের খুচরো সবজি বিক্রেতারা পালবাজারের এসব কাঁচা মালের আড়ত হতে তাদের চাহিদা মতো সব ধরনের কাঁচা সবজি কিনে নিয়ে যান। এই বাজারে সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত চলে এসব সবজি বেঁচা কেনা। কেউ কেউ নিজ এলাকা হতে সি,এন,জি, অটোরিক্সা নিয়ে এসে সবজি কিনে সেসব অটোরিক্সা, সি,এন,জি বোঝাই করে মাল নিয়ে যাচ্ছেন।
আড়তগলির এ সড়কটির ছোট বড় অনেক গর্তে প্রায়শই এসব যানবাহনের চাকা পড়ে মাল এবং বাহন ক্ষতিগ্রস্হ্য হতে দেখা যায়। আবার যেসব ভ্যান গাড়ীতে করে কাঁচা মালগুলো বাজারে ঢোকানো হয়, সেসব ভ্যান গুলোর এ্যাক্সেল ভেঙে যায় হরহামেশাই। এমনটাই জানালেন আঠারো বছরের পুরনো ভ্যান চালক সাজু দেওয়ান ৫৩।
এ কাঁচা মালের আড়ত গুলোতে মাল টানা সব ভ্যান চালকরাই জানালেন তাদের এ ক্ষতির কথা। কখনো কখনো লোড গাড়ী গর্তে পড়ে গিয়ে হন বিরম্বনার স্বীকার। তার উপর বর্ষার দিনে এসব গর্তে পানি জমে থাকার কারনে পথচারি চলাচলেও সমস্যা হয়। এই কাঁচা মালের গলিটি দিয়ে অত্র এলাকার বাসিন্দা তথা বিদ্যালয়গামী ছাত্র ছাত্রীরাও যাতায়াত করেন। সুতরাং এই সড়কটি জন গুরুত্ব পুর্ন একটি সড়ক।
এই সড়কটির ব্যপারে পালবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মাহাবুব তপাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটির সংস্কার হয়নি, গেলো বিশ বছরে এ সড়কটি সংস্কারের ছোয়া পায়নি।
তিনি আরও বলেন যে, আমরা অনেক আড়তদাররা নিজেদের ব্যবসায়ীক স্বার্থে যার যার আড়তের সামনের গর্তগুলো নিজস্ব অর্থায়নে বহুবার ঠিক করেছি। কিন্তু তা টেকসই হয়না। বর্ষা এলে নষ্ট হয়ে যায়, যানবাহন চলাচলে নষ্ট হয়ে যায়।
মাহাবুব তপাদার,নজরুল ইসলাম স্বপন, সৈয়দ আহন্মেদ, সালাম মিয়া, মজিবুর রহমান বেপারি, মিজানুর রহমান হাওলাদার, সহ পালবাজারের সকল কাঁচামাল আড়তদারদের দাবি, এ সড়কটি যেনো মজবুত করে সংস্কার করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তারা পৌর ৬নং ওয়ার্ডের যোগ্য কাউন্সিলর সোহেল রানা ও চাঁদপুরের সুযোগ্য পৌর মেয়র এ্যাডঃ জিল্লুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।