হাজীগঞ্জ সংবাদদাতাঃ প্রবাস থেকে ফিরে পুত্রকে আদর করতে স্ত্রীর কাছে এসে হত্যার স্বীকার হতে হলো এমরান নামের এক যুবকের। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের একটি ভবন হতে এ ঘটনায় যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুর রশিদ।
স্থানীয়রা জানায়, হত্যার স্বীকার এমরান হোসেন ফরিদগঞ্জের ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের দালাল বাড়ীর আবুল বাসারের ছেলে। তারা ৩ ভাই ৪ বোন। তার স্ত্রীর নাম হচ্ছে ফারজানা আক্তার এবং তাদের দাম্পত্য জীবনে আফরান নামের একটি ৮ বছর বয়সী পুত্র সন্তান রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় নাহার নামের এক নারী বলেন, ডাক-চিৎকার শুনে ওই বিল্ডিংয়ে গিয়ে দেখি ফ্লাটের দরজা খোলা। স্বামী এমরানের মাথা কোলে নিয়ে তার স্ত্রী চিৎকার করছে। এ সময় তার গলা সাদা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিলো। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
নিহত এমরান হোসেনের বাবা আবুল বাসার হাসপতালে সংবাদকর্মীদের জানান, এমরানের স্ত্রী ফারাজানার বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় পরকীয়ার অভিযোগে শালিশ দরবার হয়েছিল। আমার ছেলে স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে দেশে এসে হাতে নাতে স্ত্রীর ওই পরকীয়া ধরেছিলো। এ ঘটনায় ফারজানা আমার সন্তানকে তালাক দেয়। পরে শিশু সন্তানের কথা চিন্তা করে পুনরায় তারা সংসার শুরু করে। আমি মনে করছি পরকীয়ার জেরেই আমার সন্তানকে তার স্ত্রীর হাতে জীবন দিতে হলো।
এদিকে সচেতনরা বলছেন, পিতাকে হত্যার ঘটনায় শিশুটির মাকে থানা পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু এখন এই অবুজ শিশুটি যখন বড় হবে। তখন ত একদল লোক তার বাবার হত্যার ঘটনা ও তার মায়ের এসব ঘটনা তাকে মনে করিয়ে দিয়ে মানসিক বিশদাগার ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই সামাজিক অবক্ষয়ে জড়িয়ে পড়ার আগে অবশ্যই নিজ পরিবার ও সামাজিকতা বজায় রাখতে সতর্ক ও সচেতনতা অপরিহার্য।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, নিহত এমরানের স্ত্রী ফারজানাকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে কি ঘটেছিল? কে গলা কাটলো? সে বিষয়ে তথ্য নেয়ার চেষ্টা চলছে। এরপর বলতে পারবো এটি পরকীয়ার ঘটনা নাকি অন্য কিছু। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাইকে আইনী কাজে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।