সামিউল প্রধানঃ প্রবাসী মোঃ মাসুদ রানার সাথে অংশীদারীর ভিত্তিতে এজেন্ট ব্যাংক পরিচালনার চুক্তি ভঙ্গ ও প্রতারণা করে পলাতক রয়েছেন ইসলামী ব্যাংক লিঃ চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী চৌরাস্তা এজেন্ট সত্ত্বাধিকারী মোশারফ হোসেন পাটওয়ারী।
প্রবাসী মোঃ মাসুদ রানা অভিযোগ করেন, যৌথভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য মোশারফ হোসেন পাটওয়ারীকে তিনি ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। অংশীদারী চুক্তির ৩ নং শর্ত অনুযায়ী তিনি ব্যাংকের লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পাওয়ার কথা। কিন্তু ২০১৯ সালে ব্যবসা শুরুর পর থেকে তিনি তার হিসাব বুঝে পাননি। এরমধ্যে কিছুদিন পূর্ব থেকে পলাতক রয়েছেন মোশারফ হোসেন পাটওয়ারী। এখন তিনি বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এছাড়া এজেন্ট শাখার একাধিক গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এজেন্ট শাখাটি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে টাকা জমা রেখে খুবই দুশ্চিন্তায় হতাশ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
ব্যাংকের এজেন্ট শাখা বন্ধ ও এজেন্ট সত্ত্বাধিকারী মোশারফের পলাতক এর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড চাঁদপুর শাখার ভিপি ও শাখা প্রধান মো. দাউদ খান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতারণার শিকার হয়েছেন গ্রাহক মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান- ৩ লাখ টাকা, বাগাদীর খোরশেদ আলমের স্ত্রী- ৪ লাখ টাকা, চান্দ্রা মদনের গাঁও গ্রামের রেহেনা আক্তার- ৮ লাখ টাকা, মো. সফিক গাজী-২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড চাঁদপুর শাখার ভিপি ও শাখা প্রধান মো. দাউদ খান জানান, প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ আসার পর থেকে আমরা তাদের বিষয়ে সতর্ক হয়েছি। যাদের সাথে প্রতারণা করেছে তাদেরকে ব্যাংকের নিয়মানুসারে মামলা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট বাগাদী এজেন্টে গিয়ে মোশারফকে খুঁজে পাইনি। এরপর ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২৮ আগস্ট এজেন্ট বন্ধ করে দিয়েছি।