মামুন হোসাইন : শিশুদের মূল বিকাশই হয় খেলাধুলার মাধ্যমে। পড়ালেখার বাইরে মাঠে শিশুরা দৌড়াবে, খেলবে। তবেই না শিশুরা ভালো থাকবে। আনন্দে থাকবে। আর আনন্দের মাধ্যমে শেখাটাই হলো প্রকৃত শেখা। আর এর ভিন্নতা পাওয়া যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড চরকুমিরা গ্রামে ১৯৪২ সালে অবস্হিত চরকুমিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাঠের অভাবে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হলেও ব্যহত হচ্ছে সহশিক্ষা কার্যক্রম।
সেই সাথে শারীরিক কসরত ও খেলাধুলা করার সুযোগ হতে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ফলে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হচ্ছে না কোমলমতি শিশুদের মেধা। মাঠের অভাবে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পরিচালনা করতে পারে না সহশিক্ষা কার্যক্রম। জাতীয় সঙ্গীত-শপথ বাক্য পাঠ করানো হলেও তেমনভাবে খেলাধুলা ও শরীর চর্চা হয়না এ বিদ্যালয়টিতে। এতে করে অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে সহশিক্ষা কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ছে চরকুমিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
চরকুমিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নিয়মানুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করতে হলে ৩৩ শতাংশ জমি প্রয়োজন দলিল মুলে জমি ৩৪ শতাংশ । কিন্তু এ বিদ্যালয়টির যাথাযথ জমি থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের পর অবশিষ্ট জায়গার মধ্যে দিয়ে গেলো ফরিদগঞ্জ টু গোয়ালভাওর সড়ক এমকি রাস্তাটির পার্শ্ববর্তী ১টি ডোবা।
বিশেষ করে বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায়,এবং ডোবায় বেশিরভাগ জমি পড়ে আছে।সে ১৭ শতাংশ ডোবা ভরাট করলে শিশুদের খেলাধুলার অধিকার আদায় হয়ে যেতো। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২৮৬ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। তাদের লেখা পড়ার মান উন্নত থাকলেও পিছিয়ে পরছে সহশিক্ষা কার্যক্রম আর শারিরীক শিক্ষায়।
সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা যায়, বিদ্যালয় ঘেষা রাস্তা তারপরই ডোবা শিশুদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন জাগে। অবিভাবকরাও এ নিয়ে খুব দুঃচিন্তায় পরে যান তাদের কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নেচার আহমেদ জানায়, মাঠের অভাবে বিদ্যালয়টিতে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয় ছোট করে। এতে করে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল কর্মকাণ্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঠিকমত খেলাধুলার অভাবে শিশুরা অমনযোগী হয়ে পড়ছে পড়াশোনায়। হীনমন্যতায় ভোগার পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ।
তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে বিদ্যালয়টিতে খেলার মাঠ অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন এই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, অত্র এলাকার শিশু শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিদ্যালয়ের ডোবা ভরাটের করলে সড়কটি ঘুরিয়ে নিলে আমাদের মাঠ পর্যাপ্ত বড় হবে। আমি মাননীয় এমপি মহোদয় ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দৃষ্টি কামনা করি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন দ্রুত সময় বিদ্যালয়ের ভাউন্ডারি ও ডোবা ভরাট কাজ করার জন্য উপজেলার জনপ্রতিনিধির সাথে আলাপ আলোচনা চলছে।আশা করি খুব শীগ্রই কাজ করা হবে।