স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং বালিথুবা ইউনিয়নের সকদি গ্রামের গাজী বাড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২ জন আহত হয়। আহতরা হলেন মোহাম্মদ মালেক গাজী( ৩১ ) এবং তাহার স্ত্রী রুবী বেগম (২৫) সহ কয়েকজন।
জানা যায়, সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মালেক গাজী তার চিৎকারে তাকে বাচাতে স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও বেদম প্রহর করে সন্ত্রাসীরা। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় আত্মীয়-স্বজনরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়।
এই ঘটনায় যারা সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিছেন তারা হলেন মোঃ সুমন গাজী( ২২) পিতা মনোহর গাজী (৫০) মোঃ খালেক গাজী( ৪০) শিল্পী বেগম (৩৫) মোহাম্মদ হানিফ( ৫০) সহ একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাদের আহত করেন।
জানাযায় গত শনিবার ২০ মে বিকেল তিনটায় সময় গাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে । তবে আহত মালেক গাজী জানান গত দুই বছর আগে আমার ভাই বিদেশে নেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা এবং পাসপোর্ট নেয়। ভিসা দিবে দিবে বলে দিচ্ছেনা বিদেশে নিতে পারছে না আমি টাকা ফেরত চাইতে গেলে অনেক সময় আমার উপর ক্ষিপ্ত ওঠে ভাইয়ের স্ত্রী শিল্পী বেগম ।টাকা চাইতে গেলে তার ভাই সন্ত্রাসী সুমনকে ডেকে এনে কয়েকজন মিলে সন্ত্রাসী কায়দায় আমার উপর হামলা করে। সাথে সাথে আমি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি আমার চিৎকারে স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও হামলা করে আহত করে। আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নেই মাথায় কয়েকটি সেলাই দিয়েছে।
এই ব্যাপারে আমি ন্যায্য বিচার পাবার জন্য সন্ত্রাসী সুমনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এদিকে এলাকাবাসী অনেকে জানিয়েছেন তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে আইনের কাছে তারা যেন সঠিক বিচার পায় । ন্যায্য বিচার পাবার জন্য অসহায় মালেক ও তার পরিবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার,এবং ফরিদগঞ্জ থানার ওসি যেন বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচার করেন আশা করছেন পরিবারটি।
এই ঘটনায় মালেক ও খালেক এর বড় ভাই সেফায়েতউল্ল্যাহ গাজী বলেন আমার মেজু ভাই খালেক এর স্ত্রী শিল্পী তার বাপের বাড়ি থেকে তার ভাই মা ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে ছোট ভাই মালেককে মারধোর করে। আমি ছুটাতে গেলে তারাও আমাকে আমার স্ত্রীকে মারধোর করে। ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে দেখে হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানে আমার উপর হামলা করে তার অল্পের জন্য প্রানে বেচে যাই।
এই বিষয়ে খালেক এর স্ত্রী শিল্পী বলেন আমার স্বামী এক জন প্রবাসী। আম পাড়াকে কেন্দ্র করে আমাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। আমার ভাসুর সেফায়েতউল্লাহ ও দেবর মালেক আমাকে মারধোর করে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আমার বাবা মা কেউ তাদেরকে মারধোর করে না।
তারা আমাকে মেরেছে। তাদের ভয়ে আমি এখন বাপের বাড়িতে থাকি। মালেকের পিতা রুহল আমিন গাজী (৬৫) বলেন মালেক, খালেক,সেফায়েতউল্লাহ আমার ছেলে মালেককে বিদেশে নিবে শুনছি তবে টাকার বিষয় আমার জানা নেই তারা লেনদেন করতে পারে। তবে আমার বেয়াই এখানে এসে হামলা করবে আমি দুঃখ পাইছি। আমার কথা কে্উ শুনছেনা।