স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ ১১ নং চরদুখিঃয়া ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড অবস্হিত সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্মচারি নিয়োগ নিয়ে টাকা বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক এস এম মিজানুর রহমান ও ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নূর নবী জমাদ্দারের বিরুদ্ধে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, অত্রবিদ্যালয় কর্মচারির নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ৩ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, ১৮ তারিখে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল।
২১ এপ্রিল চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুলে প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষা হলে ২৪ এপ্রিল উক্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়, আরিফ নামে এক যুবক থেকে প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিবে বলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক, বড় অংকের টাকা পেয়ে তারা কর্মচারি নিয়োগ প্রদান করেন। স্হানীয় অনেকে জানান প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের থেকে মোটা অংকের টাকা নেন এবং প্রার্থীদের আত্মীয় স্বজন দিয়ে আবেদন করান।
যেন নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের সহজ ভাবে নিয়োগ দেওয়া যায়। এবার কর্মচারি নিয়োগে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বানিজ্য করেন তারা।
স্হানীয়রা আরো জানান, কোন ব্যক্তি নিয়োগ বানিজ্যের ব্যাপারে জানতে গেলে তিনি তাদের ব্যাপারে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন, কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিজের দূর্নীতি আড়াল করতে এমন পথ অবলম্বন করেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী আরিফ হোসেন জানান, নিরাপত্তা প্রহরী পদে কর্মচারি নিয়োগ দিবে বলে আমার কাছে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন। তারা আরো বেশি টাকা পেয়ে অন্যদের নিয়োগ দেয় এত টাকা বানিজ্য করেও আমার থেকে নেওয়া টাকা দিচ্ছে না। শুধু দিবে দিবে বলে বলে ঘুরাইতেছে।
গত ৯ মে সাংবাদিকরা প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকরা গেলে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব না দিতে পেরে প্রধান শিক্ষক এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলেন এবং ওনি টাকা ফিরত দিয়ে দিবেন বলে জানিয়েছেন।
১০ মে প্রধান শিক্ষক পুনরায় বলেন, টাকাতো এখন আমাদের কাছে নেই। আপনি নাইট গার্ড পদ খালি কাছে ওটা আপনাকে দেবো। আপনি এটা নিয়ো বাড়াবাড়ি কইরেন না।
এই বিষয় প্রধান শিক্ষক এস এম মিজানুর রহমান জানান, টাকা লেনদেন ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কোন টাকা নিয়ে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি টাকা নিলে প্রার্থীকে চাকরি দেবোনা কেন?
এ বিষয়ে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নূর নবী জমাদ্দার বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেই নি এবং টাকা নিয়ে কাউকে চাকরি দেওয়া হয়নি।