মোঃ শরিফ হোসেনঃ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের পূর্বাঞ্চলের সেচখালগুলো পানি শূণ্য থাকায় এর প্রভাব পড়েছে বোরো আবাদে। পানির অভাবে গত এক মাসেও ধানের ক্ষেতে চারা লাগাতে পারেন নি ওই অঞ্চলের কৃষকরা। ধানের চারা প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা, খাজুরিয়া, মান্দারতলী এবং পার্শ্ববর্তী রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুরা গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকদের মধ্যে পানির জন্য হাহাকার। চাঁদপুর সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে খালে পানি সরবরাহ না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, একরের পর একর জমি কৃষকরা ধানের চারা লাগানোর জন্য প্রস্তুত করে রাখলেও পানির অভাবে আবাদ করতে পারছেন না।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে খালে পর্যাপ্ত পানি চলে আসায় তারা সেচের মাধ্যমে ইরি বোরো মৌসুমে চাষাবাদ করতেন। কিন্তু এবছর জানুয়ারি মাস পার হয়ে গেলেও পানি আসার খবর নেই।
আদশা গ্রামের কৃষক আবুল কালাম, টেলু পাঠান, খোরশেদ আলম, আবুল খায়ের , মানিক হোসেন, মফিজুল ইসলাম জানান, পানির অভাবে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ধান ক্ষেতে একবারের স্থানে কয়েকবার হাল দিতে হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেতে পানি কিনে ধান রোপন করলেও পানির অভাবে পারছেন না বাকী গুলো। কয়েকশত একর ধানের আবাদী জমি এভাবে পড়ে রয়েছে। কয়েকটি স্থানে ধান ক্ষেত পানির অভাবে মাঠ ফেটে চৌঁচির হয়ে গিয়েছে।
আদশা গ্রামের সেচ ম্যানেজার আব্দুল কাদের জানান, তিনি সেচ মেশিন নিয়ে প্রস্তুত থাকলেও খালে পানি না থাকায় কিছুই করতে পারছেন না।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ বলেন, প্রতিবছর জানুয়ারির শুরুতে পানি আসলেও এবছর তার ব্যতিক্রম। বুধবার (১ ফেরুয়ারি) পর্যন্ত খালে পানি আসেনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান বলেন, সরিষা চাষের জন্য এবার পাউবো খালে পানি ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব করেছে। তবে আশা করছি দুই একদিনের মধ্যে পানির সমস্যা সমাধান হবে।