ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলা ১৫নং উত্তর রূপসা ইউনিয়নের রূপসা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে চেম্বার পরিচালনা করছেন সনদ বিহীন ডাক্তার নামধারী একদল সিন্ডিকেট। যারা প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করে অর্থ আদায় করে আসছে। এবং যাদের ক্ষমতার বাহিরে ব্যবস্থাপত্রে বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিচ্ছে।
১৯ জানুয়ারী রূপসা বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডে কেয়ার সেন্টারে কর্মরত সাবেক ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য সহকারী দিলীপ কুমার চৌধুরী তিনি দীর্ঘদিন নামের পাশে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করে আসছেন এবং তিনি একই ব্যবস্থাপত্রে দুই তিনজন রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রী না থাকলেও নামের পাশে তিনি ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন। একই ভাবে ফরিদগঞ্জ বর্ডার বাজার অবসর প্রাপ্ত উপস্বাস্হ্য সহকারি আব্দুস ছাক্তার নিজেই চেম্বার খুলে ডাক্তার নাম লাগিয়ে করছেন দোকান ও সাথে ব্যবসা।
অথচ গত ৫ই জানুয়ারি মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নং-৫৩৫/২০১৯ মোকদ্দমার রায় অনুসারে বিকল্প ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির পেশাধারীরা নামের পূর্বে- ডাক্তার লিখতে পারবেন না। বিএমডিসি আইন ২০১০ এর ২৯ ধারা মোতাবেক নিবন্ধনভুক্ত মেডিকেল বা ডেন্টাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রীধারী ছাড়া কেউ (ডাঃ) পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফ আহম্মেদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য সহকারী, অবসর প্রাপ্ত উপস্বাস্হ্য সহকারি ও বিভিন্ন ডিপ্লোমাধারীরা তাদের নামের পাশে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবে না এবং যা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী কর্মকান্ড। আমি উপরে আলাপ করে দ্রুত সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্হা গ্রহণ করবো।