স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে জনভোগান্তি চরমে। সড়কে চলাচল করা বেশ কিছু সিএনজি স্কুটারসহ গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। এতে করে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নানা স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৮ মে রোববার ছাত্রলীগের দু-গ্রুপের কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে শুরু হয় এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। দুই গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা হচ্ছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান সমর্থক এবং ফরিদগঞ্জের এমপি শফিকুর রহমান সমর্থক।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকেই ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের উত্তেজনা শুরু হয়। সময় বাড়লে তা কালির বাজার চৌরাস্তা, ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা, কড়ৈইতুলী চৌরাস্তা, জামতলা নারিকেলতলাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে যায়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার অনেকেই ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, গেলো ১৪ এপ্রিল ফরিদগঞ্জের সাবেক সাংসদ শামছুল হক ভূঁইয়ার অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুব আলম সোহাগ ও সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সুজনকে সরিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি ও সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন খান নতুন উপজেলা ও পৌর কমিটি অনুমোদন দেন। এতে বাকি বিল্লাহকে সভাপতি এবং জহির পাটওয়ারীকে সাধারন সম্পাদক করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা কমিটি ও রাকিবুল হাছানকে সভাপতি ও সাহাদাত হোসেন শান্তকে সাধারণ সম্পাদক করে ফরিদগঞ্জ পৌর কমিটি আংশিক অনুমোদন দেয়া হয়। আর এই কমিটি মেনে না নিয়ে সড়ক অবরোধসহ ফরিদগঞ্জে মিছিল করে পদ-বঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফরিদগঞ্জের এমপি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান জেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে বাদ দিয়ে কামরুল হাছান কে সভাপতি ও আল আমিন আহমেদ কে সাধারণ সম্পাদক করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ ও গাজী আলী নেওয়াজ কে সভাপতি ও হৃদয় মিজি কে সাধারণ সম্পাদক করে ফরিদগঞ্জ পৌর কমিটি ঘোষণা দেন। আর এর পরপরই সংঘর্ষ এখন ফরিদগঞ্জের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে ফরিদগঞ্জের ওসি মোহাম্মদ শহিদ হোসেন বলেন, পুরো ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। আমরা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোন কিছু দেখলেই কঠোর থেকে কঠোর অবস্থান নিবো।