মামুন হোসাইনঃ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সকল প্রস্তুতি নেওয়ার পরেও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না এক শিক্ষার্থী। উপজেলার দক্ষিণ হর্ণি সৈয়দ তাহেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের বিচার প্রার্থনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অপর দিকে উপজেলার ১০টি এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রথম দিনের পরীক্ষায় ১২১ জন পরীক্ষর্থী অনুপস্থিত ছিল।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের হর্ণি গ্রামের ওহিদুল ইসলামের মেয়ে মুন্নি আক্তার দক্ষিণ হর্ণি সৈয়দ তাহেরিয়া দাখিল মাদ্রাসা ২০২৩ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে টেস্ট পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। গত ২৭ এপ্রিল তার অন্য সহপাঠি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদান করা হলেও তাকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। পরদিন ২৮ এপ্রিল মাদ্রাসার অফিস কক্ষে যোগাযোগ করলে রেজিষ্ট্রেশন না হওয়ায় তার প্রবেশপত্র আসেনি বলে জানায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
মুন্নি আক্তার জানায়, দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য সে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপের জন্য সকল কাগজপত্র বোর্ড ফি জমা দিয়েছে। কাগজপত্রসহ ফরম ফিলাপের জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার থেকে ৩ হাজার টাকা আদায় করে। কিন্তু এখন জানাচ্ছে তার রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়নি।
এই বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল কাদির জানান গত ৫ মাস পুর্বে আমি প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েছি,শিক্ষার্থীর কেন রেজিষ্ট্রেশন করা হয়নি আমি জানি না, গত ২৮ এপ্রিল আমি জানতে পারলাম সে পরীক্ষা দিতে পারবে না,তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ফরম পুরণ বাবদ ৩ হাজার টাকা জমা দিয়েছে শিক্ষক সফিকুর রহমানের কাছে,সে টাকা জমা দেয়নি,তার কাছে রেখে দিয়েছি,তাকে প্রশ্ন করা হলো,তার নাম রেজিষ্ট্রেশন করা হয়নি তাহলে তাকে টেস্ট পরীক্ষা দেওয়া হলো কেন? এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন আমি একজন সহকারি মৌলবী প্রতিষ্ঠানের সভাপতির এখতিয়ারে আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বানানো হয়েছে। আমি পরীক্ষার ব্যাপারে কোন কিছুই বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমুন নেছা বলেন, শেষ মুহুর্তে এঘটনা অবগত হওয়ার কারনে মেয়েটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আপাতত কিছু করার নেই। লিখিত অভিযোগের আলোকে অত্র প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এবিষয়ে একাডেমিক সুপারভাইজারকে আহব্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছেন এসএসসি,দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় প্রথম দিনে উপজেলার ১০টি কেন্দ্রে ১২১জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছেন।