ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নে ভোটাল গ্রামে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে কয়েকটি এলাকা।
এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে আষ্টা বাজার ব্যবসায়ীদের আয়োজনে আষ্টা, ভোটাল,ষোলদানা ও সাইসাঙ্গা গ্রামের কয়েকশ মানুষ একত্রিত হয়ে আষ্টা বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মানববন্ধন করেছে।
এ সময় মানববন্ধনকারীরা স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রসহ ও ধর্ষক শিমুল মিজি, ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্ত সাব্বির,এজাজ ও লিপি বেগমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্ষনকান্ডে এই অভিযুক্তরা একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ওই এলাকাতে মাদক সেবন, জমি দখল, ইভটিজিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বিস্তার করে আসছে। ধর্ষনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবী জানান বক্তারা।
০৯ জানুয়ারী রবিবার দুপুরে উপজেলার আষ্টা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার ৬ নম্বর গুপ্তি ইউনিয়নের সাইসাঙ্গা গ্রামের মিজি বাড়ির হারুনের ছেলে কথিত যুবলীগ নেতা শিমুল মিজি (২৪), তাঁর দুই বন্ধু ইজাজ হোসেন (২৩) ও সাব্বির হোসেন (২৪) ওই শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে রাস্তা থেকে জোর করে ধরে আরেক অভিযুক্ত লিপি বেগমের বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষন করে। এই সময় ওই ধর্ষনের ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে তারা।
তাদের থেকে ছাড়া পেয়ে ওই শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে জানালে ঘটনার দিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ৪ জনকে অভিযুক্তকে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে।
এদিকে এই ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ধর্ষনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয় অভিযুক্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে। ঘটনার দিন রাতেই বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সকল আসামীকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন।