মামুন হোসাইনঃ মসজিদে নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিঁেখাজ হওয়ার ৫দিন পর স্কুল ছাত্র আদিল মোহাম্মদ সোহান(৮) এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ মে) রাতে শিশু সোহানের পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত লোকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
এদিকে সুরতহাল রিপোর্টে নিহত সোহানের গলায় গায়ের গেঞ্জি জড়ানো থাকায়, পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
নিহত সোহানের বাবা আনোয়ার হোসেন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন,আদিল মোহাম্মদ সোহান স্থানীয় পূর্ব বড়ালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট। প্রতিদিনই বাড়ির সামনের মসজিদে নামাজ পড়তে যেত। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসতো।
কিন্তু গত ১৫মে মাগরিবের নামাজের পর নিখোঁজ হয়, শুক্রবার সে ফিরলো তবে লাশ হয়ে।
পুলিশ পৌর এলাকার রুদ্রগাঁও গ্রামের ওই শিশুর বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে মাটিচাপা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহান মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে সিআইডি, ডিবি, পিআইবি ও থানা পুলিশ কাজ করছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, সোহানের বাবা আনোয়ার হোসেন একজন দিনমজুর। যখন যেই কাজ পায়, সেই কাজ করেন। কি কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হলো তার রহস্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান জানান, শিশুটির পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন (নং-৩৮। তাং-১৯/৫/২০২৩)। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। এখন পর্যন্ত কোন আটক নেই। তবে আশা করছি দ্রুত সোহানের হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের আটক করতে সক্ষম হবো।