স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কি, ক্ষুদ্ধ সমর্থকরা
বিএনপি ঘোষিত ১০দফা বাস্তবায়নের লক্ষে সারা দেশের ন্যায় ফরিদগঞ্জে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।স্থানীয় কোন্দলের কারণে কেন্দ্রের বেঁধে দেয়া নির্দেশনা কেউ মানেননি।
ফলে, দ্বিধাবিভক্তভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কয়েক গ্রুপ একে অপরের সাথে ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হয়েছে। এক পর্যায়ে দুপক্ষ দুই স্থান থেকে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বেলা পাঁচ ঘটিকায় কর্মসূচী সমাপ্ত করে। ঐ সময় দুপক্ষের সমর্থনে কয়েক শত নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।
বেলা তিন ঘটিকার কিছুক্ষণ পর স্থানীয় সিরাজ সুপার মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হন নেতা কর্মীরা। এম.এ. হান্নান সমর্থিত পক্ষ দু’তলায় অবস্থিত অফিসে আগে উঠে পড়েন। সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ, এমপি’র সমর্থকরা পেছন থেকে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা প্রদান করা হয়।এক পর্যায়ে একে অপরের প্রতি আঙ্গুল তুলে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।
অফিসের অদূরে দর্শনার্থী ও দলের সাধারণ সমর্থকরা ইতস্তত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। সাধারণরা কোনো পক্ষের সাথে যোগ দেননি। এর মধ্যে হারুনুর রশিদ ভীড় ঠেলে অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়লে এমএ হান্নান ক্ষোভ প্রকাশ করে বেরিয়ে যান। নীচে নেমে এক পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় নেতাদের বক্তৃতার পালা।এই দিকে, হারুনুর রশিদের সমর্থকরা অপর প্রান্তে দাঁড়ান।
তারাও সেখানে বিভক্ত হয়ে বক্তব্য শুরু করেন।অপর দিকে দলীয় কর্মসূচীকে আসেনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোতাহের হোসেন পাটোয়ারীকর্মসূচীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজস্ব ও ব্যাকিং বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ, সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়কারী এম.এ. হান্নান, সভাপতি শরীফ মো. ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান দুলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন,
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ, আবদুল খালেক পাটওয়ারী, পৌর বিএনপির সভাপতি আমানত হোসেন গাজী, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মহসীন মোল্লা, সদস্য সচিব আবদুল মতিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফেরদৌস পাটওয়ারী, নাছির উদ্দিন, সেলিম রাঢ়ী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবি কাজি, মহিলা দলের আহবায়ক রেবেকা সুলতানা, পারুল বেগম, আলেয়া বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।