মামুন হোসাইনঃ চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৯৭ জন বীরমুক্তিযুদ্ধার বীর নিবাস নির্মাণের কাজ চলমান। আগামী ১ মাসের মধ্যে শেষ হবে নির্মাণ কাজ। অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ৯৭ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন বীর নিবাস। এসব বীর নিবাসের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার আবাসন পেয়ে খুশিতে আত্মহারা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আবাসন (বীর নিবাস) নির্মাণের জন্য প্রায় ১২ কোটি ৯৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬২৭ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। যার প্রতিটি ঘরের নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬২ টাকা। প্রতি একতলা আবাসনে থাকছে দুটি শয়নকক্ষ, একটি ডাইনিং রুম, একটি ড্রইংরুম, একটি রান্নাঘর ও দুটি বাথরুম। যার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬২ টাকা।
উপজেলায় কড়ৈতলী গ্রামের ঘর প্রাপ্ত বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল হামিদ বেপারী জানান, ভাতা প্রদানের শুরুর দিকে ৩০০ টাকা থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার তা বৃদ্ধি করে ২০ হাজার টাকা করেছেন। তা ছাড়াও ঈদসহ বিশেষ দিনে বোনাসের ব্যবস্থা করেছেন। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাড়ি করে দেওয়ায় শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।
সাহাপুর গ্রামের মরহুম আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর ৩ সন্তান নিয়ে ভাঙাচোরা ঘরে দুর্বিষহ জীবন কাটে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে শেখ হাসিনা সদয় হয়ে নিজেরসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
একই ইউপির কড়ৈতলী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আহসান হাবিব এর সন্তান মোশাররফ মাস্টার বলেন, জননেত্রী আমাদের বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ায় আমরা খুবই খুশি। আর বাড়ি নির্মাণ আমাদের উপস্থিতিতে পিআইওর নির্দেশে খুব সুন্দরভাবে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদার জানান, বীর নিবাসের নির্মাণকাজ ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী করা হচ্ছে। নির্মাণে গুণগত কাজের মান ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।