ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, ৩১০ খাজুরিয়া মৌজায় সি এস ৪৪৬,বি এস ৩৭১ দাগে খাজুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে ১একর ৭৮ শতাংশ দালিলীয় ও রেকর্ডকৃত ভূমি।
শ্রী দীপক বরণ রায় বিদ্যালয়ের জন্য এই সম্পত্তি দান করেন। যার পূর্বে দোল মন্দির পশ্চিমে পুকুর দক্ষিণে গড়( পানি প্রভাহের ড্রেন বিশেষ) উত্তরে দাতা নিজ চৌহদ্দি উল্লেখ করে দেওয়া আছে এবং এই সম্পত্তিটি বিদ্যালয়ের দখলে রয়েছে।
২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে স্থানীয় আলী হোসেন গং উক্ত সম্পত্তি দখল নেওয়ার চেষ্টা করলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগন বাঁধা দিলে তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে দখল করার চেষ্টা করলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে এস আই আনোয়ার সংঙ্গীয় ফোর্সসহ গঠনা স্থলে পৌঁছলে তারা পালিয়ে যায়।
৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইলিয়াস বেগ বলেন,আমার জন্মের পর থেকে এই সম্পত্তি স্কুলের দেখে আসছি। আমি নিজেও ২০ বছর স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিতে ছিলাম। এখন আলী হোসেন গং জোরপূর্বক এ সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করতেছে। স্কুলের সম্পত্তি রক্ষায় সাথে স্থানীয়দের সাথে চরম উত্তেজনা বিরাজ করতেছে। তারা পুলিশ আসলে পালিয়ে যায়, পরক্ষণেই আবার দস্যুতায় মেতে উঠে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহিউদ্দিন বলেন, আমরা পূর্ব থেকে এই সম্পত্তি স্কুলের দেখে আসছি। ইদানিং আলী হোসেন কথিত কিছু ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে এ সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা বিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। আলী হোসেন বলেন, এই সম্পত্তি আমার বাবার নামে ১৫ শতাংশ লীজকৃত এবং পাশে আমি ৪ শতাংশ জমি কিনেছি।
বিদ্যালয়ের সম্পত্তি হলে তা লীজ হলো কিভাবে। আমি বলেছি আপনারা বিদ্যালয়ের সম্পত্তি আমিন দিয়ে মাপজোপ করে দেখেন, যদি বিদ্যালয়ের সম্পত্তি কম হয় কিংবা এ সম্পত্তি বিদ্যালয়ের হয় আমি ছেড়ে দিব। ফরিদগঞ্জ থানার এস আই আনোয়ার হোসেন বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশ পেয়ে আমি গঠনাস্থলে যাই। এবং তাদের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গিকার আদায় করি।