অমরেশ দত্ত জয়ঃ নানা জাতের ফুলে ফলে এখন সেবাপ্রার্থীসহ সবার নজরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। আর এই প্রাকৃতিক সুন্দর্যটি সবার নজরে আনতে পেছন থেকে নিরলস কাজ করেছেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান।
২২ আগস্ট মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতালে গেলে সেবাপ্রার্থীরা এমন সুন্দর্য বর্ণণা করেন।
সরজমিনে দেখা যায়, পরিত্যাক্ত এবং নোংরা নানা স্থান পরিষ্কার পরিছন্ন করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের এরিয়ার ভিতর নানা জাতের ফুল ফল গাছ সারি সারি লাগানো হয়েছে। এরমধ্যে বকুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, জারুল, নিম, আমড়া, বেল, হরিতকী, বাগান বিলাস, পেয়ারাসহ নানা জাতের গাছ রয়েছে। যেগুলো ফুল গাছে ফুল এবং ফল গাছে ফল ধরেছে। এতে করে একদিকে যেমন সবুজায়ন করা হলো। অপরদিকে সেবাপ্রার্থীদের মনআকর্ষিত হয়ে কিছু সময় তাদের ভালো অনুভূতি দিতেও গাছগুলো সাহায্য করলো।
নুসরাত নামের এক সেবাপ্রার্থী বলেন, আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হওয়ায় হাসপাতালে এসেছি। এখন রোগীদের দীর্ঘ লাইনে ভোগান্তিময় লাগছিলো। এরপর হঠাৎ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা ও এর চারপাশের নানা জাতের গাছের ফুল ফলের দিকে নজর যায়। এতে করে মনটা অনেকটা হাল্কা লেগে উঠলো।
আলমগীর বাবু নামের আরেক সেবাপ্রার্থী বলেন, বৃষ্টি যখন এই সারি সারি ছোট ছোট গাছগুলোর ওপর পড়ে। তখন এই গাছগুলো বৃষ্টির ফোঁটায় নাড়াচাড়া করে। এতে করে বিষয়টি নজরে এলে চমৎকার অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আর এমনভাবে গাছগুলো হাসপাতালের চারপাশে লাগানোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাই ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, সবুজায়নকে আমি ভালোবাসি। দেখলাম হাসপাতাল এরিয়ায় অনেক জায়গা পরিত্যাক্ত ও নোংরা হওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিলো। তখন আমি উদ্যোগ নিয়ে এসব পরিত্যাক্ত স্থান বিশেষ করে ড্রেনের পাশ এবং টয়লেটের ট্যাংকির আশপাশ ভালোভাবে পরিষ্কার পরিছন্ন করিয়েছি। তারপর নানা জাতের শতাধিক ফুল ফল গাছ লাগিয়েছি। এগুলো এখন বেড়ে উঠে চারদিকে সুভাস ছড়াচ্ছে দেখে আমার নিজের কাছেও ভালো লাগছে।
ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, এক সময় হয়তো আমি এই হাসপাতালের এই দায়িত্বে থাকবো না তবে গাছগুলো থাকবে। আর এতেই আমি আমার হাতের ছোঁয়া গাছগুলোর মধ্য দিয়ে রেখে যাচ্ছি ভেবে নিজের কাছে নিজে মনে শান্তি পাই। প্রায়ই আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্টাফসহ গাছগুলো পরিচর্যা করিয়ে থাকি। আমি যাতে হাসপাতালটির সেবার মান বজায় রাখার পাশাপাশি এ ধরনের ভালো কাজ করে যেতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া কামনা করছি।