স্টাফ রিপোর্টারঃ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অতীতের মতো আগামী দিনেও বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুর পৌরসভার টিলাবাড়ি এলাকায় বসবাসকারী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে শহরের মেঘনাপাড়ের যমুনা সড়কের আশপাশে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার আরো বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষার বিস্তারসহ আরো কিছু কাজ করা হচ্ছে। আর এসব কাজ বাস্তবায়নে ইউএনডিপি পাশে থাকছে।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার আরো বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াতে আমরা এই দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। একই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ইউএনডিপির উপ আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নগুয়েন।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারও বিদেশি এসব সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে বলে জানান উপস্থিত বাংলাদেশ সরকারের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের জাতীয় পরিচালক মাসুম পাটোয়ারী।
তিনি আরো বলেন, দাতা দেশ এবং এই দেশের উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া বিদেশি সংস্থাগুলো বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে এবং আগামী দিনগুলোতে প্রকল্পগুলো অব্যাহতভাবে চালু থাকবে।
এছাড়া চাঁদপুর পৌরসভার দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ অন্যান্য নিম্ন আয়ের নানা পেশার মানুষের জন্য যেসব উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তা চালু রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
এসময় ইউএনডিপির উপ আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নগুয়েন, বাংলাদেশ সরকারের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের জাতীয় পরিচালক মাসুম পাটোয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এবং ইউএনডিপির উপ আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নগুয়েনকে স্বাগত জানান চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, নদী বন্দর কর্মকর্তা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহীউদ্দিন, পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূঁইয়া, প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।