সাগর আচার্য্যঃ চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়িক এলাকা বাবুরহাট বাজার। ছোট-বড় মিলিয়ে আমদানি ও রপ্তানিকারক খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও এ বাজারকে ঘিরে স্কুল, মসজিদ ও আবাসিক বাসাবাড়ি গড়ে উঠেছে। যেজন্য এ বাজারকে ঘিরে নানা বয়সী হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় বাজারটি গুরুত্বপূর্ণ।
৫ সেপ্টেম্বর সোমবার চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাজার সংলগ্নে বাবুরহাট-মতলব রোডস্থ পেন্নাই সড়কের পাশে অপরিকল্পিত ময়লার ভাগাড় দেখা যায়। যেখান থেকে ছড়ানো দূর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠার অভিযোগ করেন চলাচলকারীগণ।
কাউছার নামের এক পথচারী জানান, এখানে সড়কে যত্রতত্র পার্কিং ও অব্যবস্থাপনার কারণে বিশৃঙ্খলাময় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। আর এই যানজটে সড়কের ওপর চলাচলকারী যানবাহনে থাকা যাত্রী এবং সাধারণ মানুষ দূর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। আর এভাবে ময়লা ফেলে ফেলে পাশের খালটি প্রায় মেরে ফেলা হচ্ছে। যেজন্য খালের নষ্ট পানি থেকেও ছড়াচ্ছে দূর্গন্ধ।
আব্দুল কাদির নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সড়কের পাশের খালটিতে বাজার ও বাজারের আশেপাশে থাকা বাসার ময়লা আবর্জনা এখানে এনে ফেলে ময়লার স্তুপ করা হচ্ছে। এতে করে খাল দখল, মশার উপদ্রব বৃদ্ধি এবং নগর উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের পরিকল্পিত কোন উদ্যোগ না থাকায় কেউই যেনো কোন কথা শুনতে চায় না।
দীর্ঘক্ষণ যানজটে থাকা এম্বুলেন্স চালক ফারুক বলেন, রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় এখানকার ময়লার দূর্গন্ধে তাদের অবস্থা ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দ্রুত এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নয়ন মিজি ‘হিলশা নিউজ‘-কে বলেন, বাবুরহাট বাজারের ওই পাশটিতে ময়লা ফেলার কথা নয়। তবুও কেউ কেউ অসৎ উদ্দ্যেশ্যে খালের পাশে নানা অজুহাতে ময়লা ফেলে খালের সর্বনাশ করছে এবং খাল দখলের পায়তারা করছে। আমি এখানকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনদূর্ভোগ লাঘবে মেয়র মহোদয়ের সাথে বিষয়টি সমাধানে দ্রুতই আলাপ করবো।
এ বিষয়ে চাঁদপুর ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ‘হিলশা নিউজ‘-কে বলেন, আমরা যানজট নিরসনে বাবুরহাট মতলব সড়কের মোড়ে সকাল বিকাল থাকার জন্য দ্রুতই ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত করবো।