জয় চন্দ্র নাগঃ বাবুর্চিদের কাছে বিশেষ ছাড়ে ১৭০ পদের মসলা পণ্য বিক্রি করছেন চাঁদপুর শহরের ১৩নং ওয়ার্ডের টেকনিক্যাল বনবিভাগ সড়কের শাহ আলম পাটোয়ারী। মাত্র ৬ মাসে তার এই মসলা পণ্য বিক্রিতে তিনি বাবুর্চিদের কাছে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।
১৪ জুন শুক্রবার রাতে শাহ আলম পাটোয়ারীর দোকানে কোরবানী ঈদকে কেন্দ্র করে মসলা পণ্য বিক্রিতে ব্যস্ততা দেখা যায়। যে ব্যবসাটি তিনি চলতি বছরের শুরুর দিকে শুরু করেন।
জানা যায়, শাহ আলম পাটোয়ারী হচ্ছেন খলিশাডুলী বনবিভাগ সড়কের পাটোয়ারী বাড়ীর মৃত মোঃ নুরুল ইসলাম পাটোয়ারীর ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ের মধ্যে মেঝো সন্তান। এক সময় তিনি মুদী দোকানীর ব্যবসা করলেও মূল সফলতা এসেছে মসলা পণ্য বিক্রি করে। একটি বিয়ে বা বড় যেকোন অনুষ্ঠানকে সফল করতে বারো মসলা,ভ্যানিলা সেন্ট, ঘি, সসসহ ১৭০ পদের যাবতীয় মসলা তিনি পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে আলোচনায় রয়েছেন। তাই দূর দুরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত তার দোকানে গ্রাহকরা মসলা কিনতে ভীড় করছেন।
হারুন, আনোয়ার, লিয়াকতসহ অন্যান্য বাবুর্চিরা বলেন, শাহ আলম পাটোয়ারীর দোকানে সব পদের মসলা পাওয়া যায়। তাই আমরাও কোন অনুষ্ঠানে রান্নার কাজ পেলে আয়োজকদের এই দোকানে গিয়ে আমাদের দেয়া তালিকা দেখে মসলা পণ্য কিনতে বলি। অন্যান্য দোকানের চেয়ে তিনি অনেকটা সাশ্রয়ী মূল্যেই মসলা বিক্রি করায় আয়োজকদেরও কিছুটা সাশ্রয় হয়। দোয়া করি তিনি যাতে সুনাম ও সফলতার সাথে ব্যবসায়িক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারে।
এ বিষয়ে মসলা বিক্রেতা শাহ আলম পাটোয়ারী বলেন, আমি চেষ্টা করি মানসম্পন্ন মসলা বাবুর্চিদের কাছে পৌছাতে। আর তাদেরও যাতে কিছুটা লাভ হয় সেদিকেও বিশেষ ছাড় দেই। এখানে খুচরা ও পাইকারী দামে ১৭০ পদের মসলা রয়েছে। আমার এখানে যতটুকু আয় হয় এই দিয়েই আমি আমার স্ত্রীসহ ২ ছেলে ও ২ মেয়ে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছি। সবার কাছে দোয়া চাই যাতে সুনাম ও সম্মানের সাথে আমি আমার মসলার ব্যবসা এগিয়ে নিতে পারি।