মহাসাগরীয় পূবান হাওয়া বিলীন করেছে যাকে, সে আমার বাবা,
আমার বাবা আশাবাদী নাবিক,
নীলাভ কল্লোলে পরিবার নামক জাহাজ নির্বিঘ্নে ভাসিয়া হাল যার হাতে, তিনি আমার বাবা।
আমার বাবা আশাবাদী নাবিক,
এমন অনেক অবসর,শান্তি, স্বার্থ নামক দ্বীপ পেয়েও নিজের জন্য যে ভিড়ায় নি তরী, সে আমার বাবা।
গত আঠারো বছর নিজের মতামত স্থানীয় গন্ডিতে রেখে
যিনি বিশ্বদরবারে করেছেন আমার পরিচয়,
তিনি আমার ষাটোর্ধ বৃদ্ধ বাবা
আমার বাবা কবি, তিনি মহাকবি ফেরদৌসীর মতো শব্দ গহ্বর বানিয়ে নিয়েছিলেন,
আমি বিশ্বাস করি পাচ ভাই দুই বোনের সংসার যদি না সামলিয়ে যদি কবিতা লিখতেন তবে আজ তার কিছু বই থাকতো বিশ্বসভ্যতায়।
হয়তো একটা সাহিত্যে নোবেল কিংবা দ্যা ম্যান বুকার এর মতো কিছু সনামধন্য পুরস্কার থাকতো তার ঝুলি তে।
শীতের রাতে যিনি মোটা কম্বল টা নিজের প্রয়োজন মনে করতেন না তিনিই আমার বাবা।
প্রবাহিত বাতাস যেমন হিমালয় স্পর্শ করে, তিনিও তেমন আমাদের পারিবারিক দুক্ষ গুলো একা স্পর্শ করতেন,হয়তো তার পর্বতজয়ের নেশা ছিলো।
লেখক পরিচিতি- বায়জিদ আহমেদ কল্লোল, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০।