... বিস্তারিত
বিপনীবাগে মুরগীর দাম মাইকিংয়ে কম; বাজারে গেলে বেশি হওয়ার অভিযোগ
প্রান কৃষ্ণ দাস/সজল চন্দ্র দাসঃ চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগে মাইকিংয়ে মুরগীর যে আকর্ষণীয় দাম বলা হয় তা বাজারে ক্রয় করতে গেলে বেশি রাখার অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাজার সভাপতি/সম্পাদক বরাবর মৌখিকভাবে জানিয়েও মিলছে না কোন সুদত্তোর। এতে করে বিপনীবাগ বাজারে মুরগী ক্রয় করতে গিয়ে দামে এক রকমের প্রতারনার স্বীকার হচ্ছেন ক্রেতাগণ।পুুরো মুরগীর বাজার দর এক রকমের সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।যাদের কাছে সাধারণ ক্রেতাগণ যেন অসহায়।
২৮শে ডিসেম্বর সোমবার এমন অভিযোগ তোলেন অনেকে।
সরজমিনে বিপনীবাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিপনীবাগ বাজারে ৯টি মুরগীর দোকান রয়েছে।যারমধ্যে দ্বিন ইসলাম ব্রয়লার হাউজে ব্রয়লার প্রতি কেজি ১২৫ টাকা, সোনালি কক ছোটগুলা ১৮০ টাকা, বড়গুলা ২০০ টাকা এবং লেয়ার ১৮০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাজী ফার্ম হাউজ এর পরিচালনা করেন জুয়েল কাজী। তারা ব্রয়লার প্রতি কেজি ১২০ টাকা, সোনালি কক প্রতি কেজি ১৮০ টাকা ও লেয়ার প্রতি কেজি ১৮০ টাকা করে বিক্রি করছে।
রাছেলের দোকানে পাকিস্তানি কক মুরগী প্রতিকেজি ১৭০ টাকা,লেয়ার ১৭০ টাকা, ব্রয়লার ১২৫ টাকা, কক প্রতিকেজি ১৮০ টাকা করে বিক্রি করছে।
সফিক সর্দার ব্রয়লার প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, কক প্রতিকেজি ১৮০ টাকা ও লেয়ার প্রতিকেজি ১৮০ টাকা করে বিক্রি করছে।
নাজির এর দোকানে ব্রয়লার মুরগী প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, কক মুরগী প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, লেয়ার মুরগীও ১৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ফয়সাল, মহন, সাইফুলসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, গতকালকেও এইসব দোকানগুলোতে এই রেটেই মুরগী বিক্রি করা হয়। অথচ গতকাল দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত মাইকিং করা হয় সোনালি লেয়ার মুরগীর উপর। যার বাজার মূল্য ১৭০ টাকা করে নির্ধারণ করে মাইকে ঘোষণা করা হয়েছিলো। কিন্তু মাইকে ঘোষণা শুনে বাজারে এই মুরগী কিনতে গিয়ে মাইকিংয়ের ঘোষণার চাইতেও ১০ টাকা বা তারও বেশি দামে পরে মুুরগী কিনতে হয়েছে। এজন্য আমরা বাজার দরে সঠিক মনিটরিংয়ের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করছি। এই প্রতারনারোধে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বিপনীবাগের মুরগী ব্যবসায়ী দ্বিন ইসলামকে অবহিত করলে তিনি জানান, আমরা মূলত মাইকিং করি নিজস্ব উদ্যোগে। যে ব্যাবসায়ী যত কম রেটে মুরগী লোড করতে পারবে। সে তত কম রেটে মুরগী বিক্রি করে। নিজের বিক্রি বাড়ানোর জন্যে মাইকিং করা হয়ে থাকে। তবে মুরগী শেষ হয়ে গেলে বা যে মুরগীর জন্য মাইকিং করা হয় তা না থাকলে অন্য মুরগী বেশি দামে ক্রেতাদের ক্রয় করতে হয়।এক্ষেত্রে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে বিপনীবাগ বাজার সমিতির সভাপতি জয়নাল মাঝী ও সাধারণ সম্পাদক মন্টু মাঝী কে অবহিত করার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।