শিমুল অধিকারী সুমনঃ দীর্ঘদিন পর চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের আওতাধীন মজু চৌধুরীহাট লঞ্চঘাট নির্মাণের আবাস পাওয়া গেলো এবং সেখান হতে বছরে প্রায় দেড়কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের টার্গেট রয়েছে।
১১ জানুয়ারি শনিবার বিকালে আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে মজুচৌধুরী হাট লঞ্চ ঘাট পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানিয়েছেন নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শ. আ. মাহফুজ উল আলম মোল্লা। এদিন তিনিসহ তার দল ভূমি নির্ধারনে জনমতামত গ্রহণ, নদীর গতি পথ, টার্মিনাল সড়ক তৈরিসহ নানা বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন।
জানা যায়, দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লক্ষীপুর মজু চৌধুরি লঞ্চ ঘাট হয়ে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে প্রতিদিন ১২০০-১৫০০ যাত্রী নৌপথে পারাপার হচ্ছে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সাথে ভোলা বরিশাল অঞ্চলের দূরত্ব কম হওয়ায় এই নৌপথ টি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই এ নৌপথে ছোট ছোট লঞ্চ, স্টিমার চলাচল করলেও আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল না থাকায় ভোগান্তিতে পোহান শত শত যাত্রী।
স্থানীয় সাইফুল, মিজান, সফিউলসহ অরো অনেক বলেন, এই নৌপথে প্রতিদিনই শতশত মানুষ যাতায়াত করে। আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল না থাকায় যাত্রীরা অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। বিশেষ করে মা বোনেরা ঘাটে এসে লঞ্চের অপেক্ষা করাকালীন বসার কোন জন্য কোন নির্ধারিত স্থান পাননা, জরুরি প্রয়োজনে টয়লেট করার ব্যবস্থা নেই। তাই অতি জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে জন ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে।
নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগ চাঁদপুর অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক শ. আ. মাহফুজ উল আলম মোল্লা বলেন, মজু চৌধুরিহাট লঞ্চ ঘাটসহ চাঁদপুর নৌ অঞ্চলে এই প্রকল্পের আওতায় ৩টি লঞ্চ টার্মিনাল নির্মান করা হবে। এসব টার্মিনালে যাত্রীদের সুবিধার জন্য থাকছে যাত্রী ছাউনীসহ পন্টুন, গ্যাংওয়ে, নতুন রাস্তা, ওয়েটিং সেড ও পার্কিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থা। প্রায় ১০০ কোটি টাকা ৩টি লঞ্চ টার্মিনালের জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে। ধারনা করছি, মজু চৌধুরি হাট লঞ্চঘাট হতে বৎসরে ১ থেকে ১.৫০ কোটি রাজস্ব আদায় হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এরমধ্যে কমিটির অন্য সদস্য বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ বছির আলী খান, নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।