মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর দিঘলদী গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির দুর্বৃত্তদের আক্রমণের শিকার হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে থানায় মামলা করতে পারিনি।
হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের এই ব্যাপারে জানান কিছুদিন আগে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে, এমনভাবে মেরেছে, তার পা ভেঙ্গে দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জখম করেছে। দুর্বৃত্তদের ভয়ে হুমায়ুন কবির, মতলব এ যেতে না পেরে তার, মা ও আত্মীয়দের দ্বারা, মতলব দক্ষিণ থানায়, একটি মামলা করতে চেয়েছিলেন। রাজনীতির প্রতিহিংসার কারণে মামলা করতে ব্যর্থ হন। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে আসামিদের ধরে কোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেন।
মামলার জের ধরে গত ১২ জানুয়ারী, কালা হাওলাদার বাহিনীর প্রধান জাকির হোসেন স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী নিয়ে চাঁদপুর সদর হসপিটাল এ যান।মামলার বাদি আহত হুমায়ুন কবিরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে একপর্যায়ে বলেন, মামলা আপোষ করতে হবে, না হলে তাকে হসপিটাল থেকে তুলে নিয়ে যাবে।
জাকির হাওলাদার হুমকি শেষ না হতেই হাসপাতালে, কবির কে শাশিয়ে যান মামলার ২ নাম্বার আসামি ফাহিম সরকার ওরফে ডিব্বা ফাহিম ও মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের জলদস্যু বাহিনীর সদস্য জাহাঙ্গীর সওদাগর সহ ৭-৮ জন।
এ ব্যাপারে হুমায়ূন কবির বলেন, আসামী জাকির হাওলাদারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা জমিনের ঝামেলা চলে আসছে। ফাহিম সরকার গংদের সাথে পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে ঝামেলা ছিলো,তাই ফাহিম গ্রুপ ও জাকির হাওলাদার তার বাহিনী নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করেন। মামলা করার পর ছবি দেখে চিহ্নিত করতে পেরেছি। মতলব উত্তরের জলদস্যু বাহিনীর সদস্য জাহাঙ্গীর সওদাগরসহ মামলার বাকি আসামিদের।
মামলা আপোষ করার লক্ষে মতলব দক্ষিন পৌরসভার প্যানেল মেয়র ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বুলবুল আহমেদ ফাহিমের পক্ষ হয়ে, বিভিন্নভাবে কবির কে হুমকি-ধামকি দিয়ে মামলা আপোষ করার পায়তারা চালাচ্ছে।
ঘটনার ব্যাপারে আহত হুমায়ুন কবিরের মা সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলেকে মেরে পা ভেঙ্গে দিয়ে তারা শান্ত হয়নি এখন হসপিটালে চিকিৎসা নিতে দিবেনা। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলের প্রাণ ভিক্ষা চাই।