মতলব উত্তর প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা প্রদান করায় বালু খেকো তার সমর্থকদের হামলায় গত ২৭ জুলাই রাতে কয়েক ধাপে আক্রমন চালিয়ে কলাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি, আসবাবপত্র ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে শনিবার ৩০ জুলাই আক্তার ভূঁইয়াকে ১ নম্বর বিবাদী করে মোট ৩৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাদী কলাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো.বাদল সরকার।
সোমবার বিকালে মেঘনা ধনাগোদা বেড়ীবাঁধের দশানী এলাকা হইতে এই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী রবিউল্ল্যাহ সরকার (৫৫)কে আটক করা হয়েছে মতলব উত্তর থানা পুলিশ।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মামলার তদন্তকারী কমকর্তা এস আই মোঃ মোবারক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, এজাহারে উল্লেখিত বিবাদীরা লাঠিয়াল ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডসহ মেঘনা নদীতে কয়েক বছর যাবৎ থেকে মতলব উত্তরের সীমানায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে বিগত দিন একাধীকবার বালু খেকোদের রক্তাক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়ে আসছে।
অফিস ভাংচুর ঘটনার ১দিন পূর্বেও স্থানীয় নাছিরাকান্দি ও পার্শ্ববর্তী চরাঞ্চলের লোকজনরা বালু উত্তোলনে বাঁধা প্রদান করতে নৌকাযোগে বালু মহলে যাওয়ার পূর্বে বালু খেকোরা স্থানীয়দের হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বাঁধা প্রদানকে কেন্দ্র করেই ভাংচুরের দিন রাতে স্থানীয় আক্তার ভুইয়া, রবিউল্ল্যাহ সরকার, মনির ছৈয়াল, লিটন ভূঁইয়া, বোরহান সরকার, আরিফ, রিপন, আনোয়ার’সহ শতাধিক উচ্ছৃঙ্খল যুবক পার্টি অফিসের সামনে এসে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ করে।
তার প্রতিবাদ করতেই উত্তোজিত আক্রমনকারীরা পার্টি অফিসের থাই কাঁচের দরজা জানালা ভেঙ্গে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর অফিসে থাকা আসবাবপত্র ভেঙ্গেই ক্ষান্ত হননি আক্রমনকারীরা। অফিসের সামনে অবস্থিত ৩টি দোকান ভাংচুর করে। এজাহার অনুযায়ী ক্ষয় ক্ষতির পরিমান ১২লাখ টাকা।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, মতলব সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত, মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।