নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামি লিয়ন কে জেলহাজতে প্রেরন করেছে আদালত।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মোহনপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। সে গরীব ও অসহায় । ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালায়।
তার মেয়ে ঢাকায় একটি বাসায় কাজ করে।
ওই মেয়েটি গত ঈদুল আযহায় বাড়িতে আসে।বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাথাভাঙ্গা গ্রামের একই বাড়ির আলী আজ্জমের ছেলে লিওন সকলের অজান্তে অনৈতিক কাজ করে। পরবর্তীতে ওই মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এ ব্যাপারে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে ন্যায় বিচারের আশায় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানানো হয়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন গংরা পায়তারা চালায়।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম হোসেনের চক্রান্তের কারণে এ ব্যাপারে তিনবার সালিশে বসেও রায় বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
পরে নিরুপায় হয়ে নির্যাতিতা কিশোরীর মাতা তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে ৮ অক্টোবর মতলব উত্তর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী ২০০৩ তৎসহ ৩২৩/৪২৭/ ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৯ অক্টোবর নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর জবানবন্দী চাঁদপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন রেকর্ড করেন।
১৩ই অক্টোবর মঙ্গলবার প্রধান আসামি লিয়ন চাঁদপুরের আদালতে হাজিরা দিতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরন করেছে।
মামলার বাদী তাসলিমা আক্তার অভিযোগে বলেন, আমরা গরীব ও অসহায়।
আমরা ন্যায় বিচারের আশায় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই। গোলাম হোসেন মেম্বারের চক্রান্তের কারণে থানায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।
তিনি বলেন, থানায় মামলা করায় গোলাম হোসেন মেম্বারের ছেলে হিরন পার্শ্ববর্তী কলাকান্দা ইউনিয়নের হানিরপাড় গ্ৰামে আমার বাপের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, নির্যাতিতা কিশোরী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এ ব্যাপারে অত্র থানায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন । মামলা দায়েরের পর আসামি ধরার জন্য আমরা চেষ্টা চালাই। মঙ্গলবার প্রধান আসামি আদালতে জামিন চাইলে আদালত না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।