সুমন আহমেদ : বঙ্গোপসাগরে নিন্ম চাপের ফলে মতলব উত্তরে টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জন দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
গত ৪ দিনের টানা বর্ষনে এলাকার নদী, খালে বিলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে খাল পাড়ের মানুষ আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। ডুবে গেছে মাছের খামার। বহু বসতঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। টানা বর্ষণে ঘরবন্দী হয়ে বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষ।
জানা যায়, ভারী বর্ষণে উপজেলার জোড়খালী, কালিপুর, ছেংগারচর, ব্রাহ্মণচক, কালী বাজার, সুজাতপুর, মিঠুরকান্দি, হানিরপাড় খালসহ বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি ডুবে রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
অনেক স্থানে খালের পানি গড়িয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের ক্ষেতখামার। নিশ্চিন্তপুরের কৃষক মজিবুর রহমানের ১টি, সুজন মিয়ার ৩টি ও বলাই চন্দ্র শীলের ১টি মাছের খামার ডুবে গেছে। ভারী বর্ষণে একাধিক রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে।
ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন সরকার মুকুল জানান, টানা বর্ষনে পূর্ব ইসলামাবাদে খালের পানি বেড়ে গিয়ে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এলাকার অসংখ্য চলাচলের রাস্তা বিধ্বস্ত হয়েছে। খালের পানি পাড়ের উপর উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি।
ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম জানান, ভারী বর্ষণে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেরীবাধের বাইরে মেঘনা নদীর ভাঙনে বহু বসতঘর বিলীন হওয়ার মুখে। এছাড়াও রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
খাল পাড়ের বাসিন্দারা জানান, অপরিকল্পতভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ও গভীরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে নদীর পাড় ভেঙে বেরীবাধের কাছাকাছি চলে আসছে। এতে বেড়ীবাঁধ ও জনবসতি এলাকা ঝুঁকিতে পড়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, টানা বর্ষনে মতলব উত্তর উপজেলার ১৭০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্বাস সবজি, আউশ এবং আমন ধান। কালীপুর এবং গাজীপুর পাম্প হাউজে পানি নিষ্কাসন হচ্ছে, তবে যে পরিমানে নিষ্কাসন হওয়া প্রয়োজন সে পরিমানে হচ্ছে না। যদি বৃষ্টি বন্ধ না হয় তাহলে ক্ষতির পরিমান আরো বাড়তে পাড়ে।