সুমন আহমেদ : সুস্বাদু একটি ফসলের নাম কাউন, মানুষজন কাউন চাল রান্না করে খায়, হরেক রকমের পিঠা, খীর, পায়েসসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি হতো কাউন থেকে। কিন্তু চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বিলুপ্তির পথে কাউন চাষ।
এক সময় এ উপজেলার গ্রামেগঞ্জে ব্যাপক
চাষ হলেও বর্তমানে কাউন চাষে কৃষকের আগ্রহ না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন চাষ।
জানা গেছে, স্বল্প খরচ, সহজ চাষ পদ্ধতি ও পানি সাশ্রয়ী হওয়ার সত্যেও গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই ফসলটি আজ বিলুপ্তির পথে।
ফসলটি যেন কালের গর্ভে বিলীন হতে চলেছে।
আরও জানা গেছে, ফসলটির শুকনো জমিতে ঝুরঝুরে চাষের পর চৈত্র মাসে বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হয়। জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে ফসল ঘরে ওঠে। এতে কোনও সেচের প্রয়োজন হয় না। ফলন হয় বিঘাপ্রতি ৮-১০ মণ। কাউনের শীষ ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়ার পর বাকি গাছের অংশ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য আবাদের মতোই কাউন সহযোগী ফসল হিসেবে কৃষকের আর্থিক যোগান দিতো।
উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কৃষক শাহ আলম বলেন, আমাদের এই গ্রামে অনেকেই মরিচ, আলু, শাকসবজির ফাকে কাউন চাষ করতাম। সেই কাউন বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাতাম। এখন ফলন কম হওয়ায় আমরা কাউন চাষ আর করি না।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশী জাতের এ ফসলটিকে সংরক্ষণ করা উচিত। তা না হলে পরবর্তী প্রজন্ম জানতেই পারবে না কাউন নামটি।কাউন নামের এ ফসলটি যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায় এ জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, কাউন এখন অভিজাত ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাছাড়া ফলন কম হওয়ায় কৃষকেরা কাউন চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে।