মতলব উত্তর প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের ওয়ারিশ প্রধান বাড়ির এক কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে একই বাড়ির হাসেম প্রধানের ছেলে মিঠু।
ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রাম্য শালিশগণ দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফার করলেও ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে এখন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ওই কিশোরী ও তার মা।
কিশোরীর পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ৭-৮ মাস আগে মিঠু তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড় করে ধর্ষণ করে। তখন মিঠু এই কথা কারো কাছে প্রকাশ করে তাহলে ওই কিশোরীকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। তাই ভয়ে ওই কিশোরী কাউকে বলে নি।
ঘটনার ৭ মাস পর তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে তার মা বুজতে পারেন। পরে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান সে অন্তঃসত্ত্বা। এই কথা শুনে তার মা তাকে চাপ প্রয়োগ করে জিজ্ঞেস করলে সে স্বীকার করে ধর্ষণের কথা।
এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। এদিকে ঘটনার ৩-৪ মাস পরে মিঠু প্রবাসে চলে যায়। ধর্ষক মিটু বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
কিশোরীর মা বলেন, ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। কয়েকদিন আগে আমার মেয়ের বিষয়টি নিয়ে শালিশ হয়েছে। মানিক, জামালসহ বাড়ির অনেকে থেকে দেড় টাকা জরিমানা দিবে বলে সিদ্ধান্ত করছে। আর বলছে পেটের বাচ্চা মেরে ফেলতে। এখন আমরা কি করব বুজে উঠতে পারছি না।
ওই বাড়ির প্রবাসী জামাল প্রধান বলেন, মেয়ে এবং ছেলে পক্ষ উভয়ই অসহায় পরিবারের। মিটু ঘটনার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর আমি মানিক প্রধানসহ সবাই মেয়েটার কথা চিন্তা করে আমরা তাকে চিকিৎসা ও ভোরন পোষণের জন্য দেড় টাকা জরিমানা করেছি। বর্তমানে মিঠু প্রবাসে আছে। সে দেশে আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্তঃসত্ত্বার ব্যাপারে তিনি বলেন, বাচ্চা মারার ক্ষমতা কারো নাই। বাচ্চা বাচ্চার মত করে দুনিয়াতে আসবে, বড় হবে।
এ ব্যাপারে কথা হয় মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল এর সাথে। তিনি বলেন, ধর্ষিতা যদি অভিযোগ না করেন বা বিচার না চান সেক্ষেত্রে আমরা আইনগতভাবে পদক্ষেপ নিতে পারি না। যদি লিখিত অভিযোগ পাই অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।