চয়ন ঘোষঃ চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের বাজারে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সুকৌশলে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও মেহেদী হাসান টিপু। সে পেশায় একজন লোড ব্যবসায়ী এবং দক্ষিণ বাইশপুর মোহল্লার মনির ফরাজী ছেলে।
২ জুলাই রোববার দুপুরে এই উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, মতলব বাজারের সৌরভ টেলিকম দোকানের এক পাশে একটি টেবিল নিয়ে দির্ঘদিন যাবৎ লোডের ব্যবসা করে আসছিল মেহেদী হাসান টিপু। সে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সুকৌশলে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে।
গত ২ জুলাই রবিবারের পর থেকে সে দোকানে না আসায় পাওনাদারদের মাঝে সন্দেহ হয়। পরে মেহেদীর বাড়ীতে গিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনি কি তার পরিবারও গা ঢাকা দিয়েছে।
বাইশপুর গ্রামের মৃত স্বপন সরকারের ছেলে নিরব সরকার বাবু বলেন, মেহেদী ঈদ উপলক্ষে আমার কাছ থেকে ১৫ লক্ষ বিশ হাজার টাকা হাওলাত হিসাবে নিয়েছিল। নেওয়ার সময় সে আমাকে বলেছিল টাকার বিষয়ে আমি যেন কাউকে কিছু না বলি।
উধাও হওয়ার পর ধীরে ধীরে জানতে পারি মাঈনউদ্দিনের কাছ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা, আল আমিনের কাছ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা, অপর লোড ব্যবসায়ী ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, কম্পিউটার ব্যবসায়ী কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা, সাদ্দাম হোসেনের কাছে থেকে ১৪ লক্ষ টাকা, নগদ ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান সাগরের কাছ থেকে ৭লক্ষ ২ হাজার টাকা, মেহেদী হাসানের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা, লোড ব্যবসায়ী রাজিবের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা, সবুজের কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা, প্রবাসী জুয়েলের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা , রাজিব মিয়ার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা, মাহফুজ আহম্মেদ আখন্দের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও রয়েছে।এছাড়াও আর কত জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তা পরে জানা যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পাওনাদাররা বলেন, লাভের আসায় পরিবারের কাছ থেকে টাকা এনে দিয়েছিলাম। সে যে আমাদের সাথে এমন করবে তা কখনো ভাবিনি।
দোকান মালিক জালালউদ্দিন ফরাজী বলেন, সে আমার দোকানে লোড ব্যবসা করতো। কিন্তুু বেশ কয়েক দিন যাবত সে দোকানে আসছে না। লোকমুখে শুনেছি অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নাকি উধাও হয়েছে।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিন থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে কেউ লিখিত অভিযোগ এখনো করেনি। যদি লিখিত অভিযোগ পাই তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।