সুমন আহমেদ : ঢাকা থেকে বরিশালে আসার পথে এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চ নদী তীরবর্তী চরে আটকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর মোহনপুরের বাহেরচর সংলগ্ন নদীতে চলমান অবস্থায় ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
লঞ্চের মাস্টার আলম সর্দার জানান, প্রায় ৪-৫ শত যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় সুন্দরবন ১১ লঞ্চ। পথিমধ্যে হাইড্রোলিকে ত্রুটি দেখা দিলে লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণে নিতে তীরবর্তী চরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে লঞ্চটি চরে আটকে গেলে এবং নদীতে ভাটি থাকায় সেটিকে আর নামানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে যাত্রীদের সুরভী-৭ লঞ্চে তুলে দেয়া হয়। যাতে তারা নিরাপদে বরিশালে পৌঁছাতে পারে।
এদিকে সুরভী-৭ লঞ্চের যাত্রী সুজন জানান, সুন্দরবন ১১ লঞ্চ আমাদের লঞ্চটির সামনে ছিল। সুন্দরবন লঞ্চটি চরে আটকে থাকতে দেখে সুরভী ৭ লঞ্চটি চরে নোঙর করে। সুন্দরবন ১১ লঞ্চের কাছে গিয়ে দেখা যায় প্রায় চরের উপরে উঠে গেছে লঞ্চটি এবং পেছনের দিকে কাত অবস্থায় রয়েছে। পানি ওঠার মত অবস্থা লঞ্চে। লঞ্চটি দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে এই লঞ্চে যাত্রী নিয়ে বরিশালে যাওয়া সম্ভব নয়। পরে সুন্দরবন লঞ্চের যাত্রীরা সুরভী ৭ লঞ্চে উঠে বরিশালে আসে। চর থেকে রাত ২টার দিকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় লঞ্চটি।
সুন্দরবন ১১ লঞ্চের সিঙ্গেল কেবিনের যাত্রী টিটু বলেন, সুন্দরবন ১১ লঞ্চটি হঠাৎ করেই রাত ১২টার দিকে থেমে যায়। সব যাত্রীই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে আমি ব্যাগ নিয়ে সুরভী লঞ্চে উঠেছি। হয়তো কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে। এছাড়া তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
মোহনপুর ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে লঞ্চ মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছানোর জন্য বিকল্প লঞ্চের ব্যবস্থা করি। পাশাপাশি আটকে পড়া লঞ্চটিকে পানিতে নামানোর চেষ্টা চলছে। আমরা এখনও আটকে পড়া লঞ্চের সাথেই আছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত পানিতে না নামানো যাবে, ততক্ষণ আমারা সেখানেই থাকবো।