মহসীন আলমঃ চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া পূর্ব দক্ষিণ বাজার সংলগ্ন একটি মার্কেটে বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট (ধারনা মতে) থেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগে এক আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়সহ ৭টি গোডাউন পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এতে আনুমানিক ৩৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। গতকাল ১১ জুলাই মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টা সময় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মহামায়া পূর্ব বাজার স্টেশন রোডে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহীদউল্যাহ পাটওয়ারীর মালিকানাধীন একটি মার্কেটে অগ্নিকান্ডে পুরো মার্কেট পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। তবে তাদের ধারণা মতে বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এসময় চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে এর আগে স্থানীয় সকল বয়সী মানুষের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। তাদের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তা না হলে আশেপাশের মার্কেটেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা ছিল।
চাঁদপুর নতুন বাজার ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট অফিসার রবিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ অগ্নিকান্ডে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হাজীর ব্যক্তিগত কার্যালয়, শাহাজান বেপারীর অটোবি ফার্নিচার কারখানা, হারুন বেপারীর সিমেন্টের গোডাউন, জাহাঙ্গীর বেপারী, মনির বেপারী, বিল্লাল বেপারী, উত্তম চন্দ্র ঘোষ ও কালাম পাটওয়ারী এই ৫ জনের ৫টি ফলের গোডাউনসহ পুরো মার্কেট পুড়ে যায়। ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারনা মতে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ লক্ষাধিক টাকা। খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুহাম্মদ মুহসিন আলম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক শান্তনা প্রদান করেন। এবং মডেল থানা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেন।
এদিকে আজ ১২ জুলাই বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হেদায়েত উল্যাহ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, শাহমাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান নান্টু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হাজী, ইউপি সচিব মোহাম্মদ কুদ্দুছ আখন্দ রোকন ও ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, কবির হোসেন রনিসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।