রাফিউ হাসানঃ চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ইব্রাহিম খলিল মানবসেবাকে ব্রত হিসেবে বেছে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।কখনো ত্রাণদাতা, কখনো রক্তদান, কখনো আবার সেচ্ছাসেবী হিসেবে তাকে অসহায়ের সেবক হতে দেখা যায়।ইতিমধ্যে তার কর্মগুণ পুরো শাহরাস্তি জুড়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
জানা যায়, ইব্রাহিম খলিল শাহরাস্তির আলীপুর মুসীবাড়ীর সন্তান। তার পিতার নাম মো. আনোয়ার হোসেন। সেখানে ১ বোন ও ৩ ভাইসহ মোট ৪ ভাইবোনের মধ্যে ইব্রাহিম খলিল ২য়।
এদিকে ইব্রাহিম খলিলের শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ওয়ারুক রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০০৮ সালে এসএসসি, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ হতে ২০১০ সালে এইচএসসি, মডেল ইউনিভার্সিটি হতে বি বি এ(মার্কেটিং) এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজ হতে এমবিএ সমাপ্ত করেন।
তবে তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি ‘রক্ত সৈনিক ফাউন্ডেশন’ এর সভাপতি, ‘স্বপ্ন কুড়ি ফাউন্ডেশন ২০২০’ এর সভাপতি, ‘মানবতা ২০১০ ডিগ্রি কলেজ’ এর সভাপতি, ‘স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন’ এর সভাপতি, ‘ভ্যালোসিটি ফ্রেন্ডস সোসাইটি ০৮’ এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সমাজসেবা চালিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, ইব্রাহিম খলিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। কেননা তিনি শাহরাস্তির টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।বর্তমানে ৩নং ওয়ার্ড আলীপুর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর এসব সংগঠনে জড়িত থেকে মানবসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার চেষ্টা করছেন। তাই তো তিনি নিজ উপজেলাতে করোনাকালীন মহামারীর সময়ে তার মোটর সাইকেল ক্রয় করার জন্য জমাকৃত অর্থ ত্রাণ বিতরণে ব্যায় করেন। তাছাড়া করোনার সময়ে কৃষকদের ধান কাটা এবং তা মাড়াই করে তা বহন করে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছানোর দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। স্থানীয় যুবকদের নিয়ে সমাজের কিশোর গ্যাং প্রতিরোধেও তার কার্যকলাপ দেখা যায়।
১৭ই অক্টোবর শনিবার এক সাক্ষাৎকারে ইব্রাহিম খলিল ‘হিলশা নিউজ‘-কে জানান, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে মানুষ মানুষের জন্য।এক্ষেত্রে মানুষ হয়ে মানুষের দরকারে রক্তদান একটি মহৎ কর্মযজ্ঞ। তাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের বিপদে রক্তের প্রয়োজনে আমি সেবার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। এজন্য প্রতিষ্ঠা করেছি ‘রক্ত সৈনিক ফাউন্ডেশন’ ব্লাড ব্যাংক। অন্যের প্রয়োজনে রক্ত যোগাড় করে দেওয়াই এই সংগঠনটির কাজ।
তিনি ‘হিলশা নিউজ‘-কে আরো বলেন, আমাদের সংগঠনের রক্তদাতাগণ স্থানীয় হাসপাতাল, ক্লিনিক বা দেশের যে কোন স্থানে গিয়ে বিনামূল্যে রক্ত দান করেন।ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেওয়া সত্ত্বেও যদি কাঙ্খিত রক্ত না পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আমরা ডোনার লিস্ট থেকে ডোনারদের ফোন দিয়ে রক্তদানের জন্য সহযোগিতা প্রার্থনা করি। তবে সবচেয়ে ভালো লাগার কথা হচ্ছে। রক্তদানের বিনিময় হিসেবে রোগী বা তার স্বজনদের থেকে কোন প্রকার আর্থিক উৎকোচ নেওয়া হয় না।আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। যাতে আমি এভাবেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিজেকে সহনশীল রেখে আমার মানবিকতা বজায় রাখতে পারি।