বিশেষ প্রতিনিধিঃ ‘ঘরের শত্রু বিভিষণ’ কথাটি যেন রাজনীতির মাঠে বার বার পুনরাবৃত্তি হতে হতে সবার মুখস্ত হয়ে গেছে। এবার আবারো কথাটি সামনে এলো বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকে দেয়ার পর। আর এ মামলা দিয়েছেন জেলার সাবেক এক ছাত্রদল নেতা।
২৪ আগস্ট বুধবার চাঁদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। আর মামলা হওয়ার পর পরই বিএনপি’র সাধারণ সমর্থকরা বলছেন, এমনিতেই দল ক্ষমতায় নেই। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন সময় দলকে ঐক্যবদ্ধ করার। আর তা না করে এমন মামলা দলের কার্যক্রমের জন্য আশির্বাদ না অভিশাপ এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
মামলায় বিবাদীরা হচ্ছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইদুল হক, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ ওরফে মানিক, সাধারণ সম্পাদক মো. সলিমুল্লাহ সেলিম ও সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনার মো. শামছুল ইসলাম।
অপরদিকে মামলার বাদী হচ্ছেন চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাফিউস সাহাদাত ওরফে ওয়াসিম পাটোয়ারী। যিনি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন।
গণমাধ্যমকে ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা ওয়াসিম পাটোয়ারী বলেন, গত ২ এপ্রিল চাঁদপুর সদরের নানুপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের ফলাফল বাতিল ও পুনঃনির্বাচন ঘোষণার আদেশ চাই। একই সঙ্গে সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনার মো. শামছুল ইসলাম ঘোষিত ফলাফল বাতিলসহ সম্মেলনের বিজয়ী জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ ওরফে মানিক ও সাধারণ সম্পাদক মো. সলিমুল্লাহ সেলিমের সব কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাই।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সেলিম মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার বাদীর মৌখিক বক্তব্যের আলোকে অভিযোগগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ২ এপ্রিলের নির্বাচনে ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলর ছিলেন। এরমধ্যে ৯৮২ জন ভোট দিতে পারলেও বাকিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ জন্য তিনি পুরো সম্মেলনের ফলাফল বাতিলের আদেশ চেয়েছেন।
এ বিষয়ে মামলার বিবাদীদের পক্ষে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সলিমুল্লাহ সেলিম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মামলাটি যিনি বাদী হয়ে করেছেন, তিনি কোনো কাউন্সিলর বা বিএনপির কোনো নেতা নন। তারপরও আমরা আইনগতভাবে মামলাটি মোকাবিলা করবো। বর্তমানে মামলাটি আদালতের আদেশের জন্য রয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।