সুমন আহমেদ : মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। আগামী ১৭ জুলাই সোমবার ইভিএম পদ্ধতি তে অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে বসে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করতে নির্বাচনী প্রচারণা ও জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা।
এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি হতে নিয়মিত দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন ১৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাদের মধ্যে জনপ্রিয় এবং হেভিওয়েট প্রার্থী হচ্ছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান ও গুলশান থানা যুবলীগের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান সেলিম।
ছেংগারচর পৌরসভার সবশেষ মেয়র রফিকুল আলম ওরফে জজ মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পর চমক দূরের কথা, নূন্যতম উন্নয়নও উপহার দিতে পারেননি। এ নিয়ে স্থানীয় পৌর বাসিন্দাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন। উন্নয়ন বঞ্চিত পৌর বাসিন্দারা এবার আশ্বাসের বৃত্তবন্দি না থেকে কাঙ্খিত উন্নয়নের নিশ্চয়তা চান।
সেক্ষেত্রে তৃণমূলের ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্কের সেতুবন্ধন রচনা করতে পারবেন, উন্নয়নের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারবেন অবহেলিত ছেংগারচর পৌরসভাকে এমনই একজন প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের আলোচনায় ঠাঁই করে নিয়েছেন মাহবুবুর রহমান সেলিম ।
স্থানীয় জনসাধারণের মাঝেও তাকে ঘিরে রয়েছে পজেটিভ ইমেজ। মেয়র পদে মনোনয়ন রাজনীতিতেও তিনি রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। এসব বিবেচনায় নৌকার মাঝি হতে নিজের অপরিহার্যতার কথাই জানান দিয়েছেন আওয়ামী পরিবারের সন্তান এ প্রার্থী। মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান সেলিম করোনাকালীন সময়ে পৌরসভার সকল স্তরের মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় পাশে ছিলেন।
জানা যায়, ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে বিল্লাল হোসেন সরকার মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু দায়িত্বভার গ্রহণের ২ মাস ২৭ দিনের মাথায় ওই বছরের ১০ মে তিনি মারা যাওয়ায় পদটি শূণ্য হয়। পরবর্তীতে একই বছরের ৭ আগস্ট উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে বিজয়ী হন রফিকুল আলম ওরফে জজ।
সূত্র মতে, আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় এলাকাবাসী নিজেদের পছন্দের মেয়র প্রার্থী হিসেবে মাহবুবুর রহমান সেলিমকে ভোটে দাঁড় করাতে তোড়জোড় শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর সমর্থনে ক্ষমতাসীন দলটির নেতা-কর্মীরা পৌর এলাকাসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার-ব্যানার সাঁটাচ্ছেন।
পৌর এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, কবরস্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান ও করোনাকালীন সময়ে পৌরসভার সকল স্তরের লোকজনের পাশে দাঁড়িছেন মাহবুবুর রহমান সেলিম। তাকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ বাসিন্দাদের মাঝে অন্য রকম এক জাগরণ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে নিজের কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে দলীয় হাইকমান্ডেরও নজরে আসার চেষ্টা করছেন মাহবুবুর রহমান সেলিম।
একই সূত্র জানায়, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সেলিমের গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘ সময় যাবত সম্পৃক্ত। ছাত্রজীবনে তিনি নিজেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আপদে-বিপদে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে তারা কোনদিন আপোস করেননি। গুণী, সাহসী ব্যক্তিত্ব ও আপাদমস্তক আওয়ামী পরিবারের সন্তান মাহবুবুর রহমান সেলিম শেষ পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান সেলিম বলেন, ‘স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা চান আমি যেন মেয়র পদে প্রার্থী হই। আমরা দেখেছি যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ছেংগারচর প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানকার নাগরিকরা সব রকমের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে আমি মেয়র নির্বাচিত হলে ছেংগারচর কে আধুনিক ও স্মার্ট পৌরসভায় রুপান্তর করব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নত বাংলাদেশ গড়তে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র আমি ভোটারদের সামনে উপস্থাপন করছি। আমি আশাবাদী দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি মেয়র পদটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারবো।