সুমন আহমেদ : ২৫ এপ্রিল আচমকা বাতাস এসে উড়ে যায় যাত্রী ছাউনির টিনের ছাদ। এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনও সংস্কার করা হয়নি। ফলে যাত্রীদের কোন কাজে আসছেনা যাত্রী ছাউনিটি।
২৩ মে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বসার স্থানে ধুলাবালি,গাছের পাতা আর পাখির বিষ্টা পরে আছে। ছাদের উপর শুধু লোহার এ্যানগেল গুলো রয়েছে, টিনগুলো নিয়ে গেছে বাতাসে উড়িয়ে। কিছু টিন আটকে আছে এ্যানগেলের সাথে বাকিটুকু এখনো জুলছে। আবার কিছু টিন বাতাসে কোথায় উড়িয়ে নিয়ে গেছে তার কোন হদিস নেই।
জানা যায়, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান (মরহুম) শামসুল হক চৌধুরী বাবুল ইউনিয়ন পরিষদের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ঢাকা-চাঁদপুর ও নারায়নগঞ্জ- চাঁদপুর লঞ্চ যাত্রীদের রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা ও বিশ্রামের জন্য এ যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেন। পথচারীদের বিশ্রাম নেয়া কিংবা যানবাহনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের কোনো কাজে আসছেনা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ঢাকাগামী নাউরী গ্রামের আফজাল জানান, আমি স্ত্রী সন্তান ও ৩টি ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে আছি, বসার স্থান পাচ্ছিনা। নারায়নগঞ্জগামী ৬৫ বছর বয়স্ক আম্বিয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধা জানান, ২৫ মিনিট লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছি, প্রচুর রোদ বসার জায়গা নাই।
বহুমুখী সমস্যার কারনে যাত্রী ছাউনি টির মেরামতের দাবী যাত্রীদের। তারা বলছে জনস্বার্থে এই যাত্রী ছাউনিটি মেরমাত করা হলে দৈনিক হাজার হাজায় মানুষ উপকৃত হবে।
মোহনপুর ইউপির চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অচিরেই ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর চাঁদপুরের উপসহকারী প্রকৌশলী নাছির উদ্দীন বলেন, এটা আমাদের দায়িত্ব না।
জেলা পরিষদের সদস্য আলাউদ্দিন সরকার বলেন, সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার্থে যাত্রী ছাউনি মেরামত করা উচিত। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মেরামত করা হবে।