স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুরের লক্ষীপুর ইউনিয়নের বহরিয়ার হাওলাদার বাড়ী এলাকায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা বাকবিতন্ডা থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উত্তপ্ত পরিস্থিতি মাত্র ১ ঘন্টায় ঘটনাস্থলে পৌছে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয় এবং ২ জন গ্রেফতার হয়েছে।
২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসি মুহসীন আলম। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেননি।
জানা যায়, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরের ওপর রাজনৈতিকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেসহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মারধর ও তাদের বাড়ীঘরে হামলা ও লুটপায় চালিয়েছে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ও দেশীয় অস্ত্রসশ্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে রক্তক্ষয়ী এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌছে মাত্র ১ ঘন্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের কেউই তাৎক্ষনিক বক্তব্য দিতে চাননি।
এ বিষয়ে ওসি মুহসীন বলেন, লক্ষীপুরের আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের বাড়ীতে কোপাকোপি ও লুটপাটের ঘটনায় জোৎস্না বেগম নামে একজন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা ঘটনায় জড়িত ২ বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে এই সংঘর্ষের জেরে লক্ষীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাহিন পাটওয়ারী ও লক্ষীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরু ভূইয়াসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে আসামী করে জোৎস্না বেগম নামে একজন বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন।