... বিস্তারিত
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দোয়া
আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।তিনি আগত উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন,
বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস বাংলাদেশ বিজয়ের শেষ লগ্নে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের কে হত্যা করা হয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন,দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়।
১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে তাদের গলিত ও ক্ষত বিক্ষত লাশ খুঁজে পায়। বুদ্ধিজীবীদের লাশে ছিল আঘাতের চিহ্ন। চোখ, হাত-পা ছিল বাঁধা। কারো কারো শরীরে ছিল একাধিক গুলি। অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে। লাশের ক্ষত চিহ্নের কারণে অনেকেই প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।
১৯৭২ সালে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সঙ্কলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন ‘নিউজ উইক’-এর সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের লেখা থেকে জানা গেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন।পরে সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয় অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,চাঁদপুর পৌর আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মনজুর ইসলাম, সাবেক সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল, জেলা ছাএলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ করিম বাবু, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান মুন্নাসহ জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।