শাহরাস্তি সংবাদদাতাঃ শাহরাস্তিতে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে আপন চাচাকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা মেহেদী হাসান রাকিবের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী উওর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উল্লাশ্বর গ্রামের চারু পাটোয়ারী বাড়ির জাফর আলী (৬০)কে তার ভাই আনছার আলী ও ভাতিজা মেহেদী হাসান রাকিব (২৮) মারধর করে।
এতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় জাফর আলী। মারধরের ফলে তার বাম হাত ভেঙে যায়। এই ঘটনায় ভাতিজা মেহেদী হাসান রাকিব ও ভাই আনছার আলীর বিরুদ্ধে শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহত জাফর আলী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জাফর আলী ও তার ভাই আনছার আলীর পরিবারের সাথে তাদের দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। এর ফলে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। যা স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেও সমাধান করা যায়নি। ঘটনার দিন রাকিব ও তার বাবা জাফর আলীকে কিল-ঘুষি দিয়ে মেরে আহত করে। এবং রাকিব কোদালের হাতল দিয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত করে জাফর আলীকে। এতে তার হাতের কব্জি ভেঙে যায়।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রাকিব আহত জাফর আলীর ভাই আনছার আলীর ছেলে।
জানা যায়, মেহেদী হাসান রাকিব স্থানীয় একজন পশুর ডাক্তারের সহকারী হিসেবে কাজ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, মেহেদী হাসান রাকিব তাদের প্রতিবেশীদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে। এছাড়া তাদের জায়গায় যাওয়া মুরগীকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ করেছে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, তাকে আমি মারি নাই। তিনি নিজেই বাঁশ ঝাড়ে পড়ে হাত ভেঙেছেন৷
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন জানান, ঘটনটি সত্যি। তারা যেহেতু থানা পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন তাই বিষয়টি আইন অনুসারেই সমাধান হউক।
এই অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জুলফিকার আলী জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে নিয়মিত মামলা করা হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার আহত জাফর আলীর ছোট ছেলে মফিজুল ইসলামকে মারধর করেছে মেহেদী হাসান রাকিব। সেই ঘটনায়ও শাহরাস্তি মডেল থানায় পূর্বে আরও একটি অভিযোগ করেছিল রাকিবের বিরুদ্ধে।