শাহরাস্তি সংবাদদাতাঃ চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে জমির দালাল অহিদের অর্থ লোভের কারনে মানিক চন্দ্র সাহা ক্ষতিগ্রস্ত। বিচারের আশায় মানুষের কাছে ঘুরছেন তিনি।
জানা যায়, মানিক চন্দ্র সাহার জায়গা বিক্রি করে কন্যা জলি রাণী সাহাকে বিয়ে দেন নিখিল চন্দ্র সাহা। মৌখিক বিনিময়মূলে প্রাপ্ত জায়গায় দুটি বসত ঘর নির্মাণ করেন মানিক চন্দ্র সাহা। ওই জায়গা আবার নিখিল চন্দ্র সাহা বিক্রি করে জমির দালাল অহিদের কাছে। অহিদ বায়না সূত্রে ক্রয় করার পর উপলতার জনৈক আবদুল কাইয়ুমের কাছে বিক্রি করেন।
ঘটনাটি ২০ এপ্রিল বুধবার সকালে উপজেলার পৌর ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব উপলতায় ঘটে।
এবিষয়ে মানিক চন্দ্র সাহা বলেন, বড় নিখিল কৃষ্ণ সাহার সাথে মৌখিক ইয়াজবদলের ৫ শতক জায়গায় আমি ২টি বসত ঘর নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করি। গত ১০ এপ্রিল গভীর রাতে পৌর ১নং ওয়ার্ডের কাজিরকামতা বড়বাড়ির নুরু মিয়ার পুত্র অহিদ ওই জায়গায় থাকা দুটি বসত ঘর, ঘরের ভিতেরের মালামাল, ৬টি গাছে কাঠ, ১৫/২০ মন লাকড়ি, পূঁজা-অর্চনার মুর্তি, ধর্মীয় গুরুজনদের ছবি, বিভিন্ন প্রজাতের গাছ কর্তনসহ মোট ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। আমি হিন্দু মানুষ বিধায় অহিদ এতবড় জঘন্য কাজ করতে পেরেছে। আমার টাকা ও জনবল না থাকায় সমাজের কারও কাছে এমন সন্ত্রাসী কাজের হোতার বিরুদ্ধে বিচার পাইনি।
এব্যাপারে অহিদ জানায়, আমি নিখিল চন্দ্র সাহার কাছ থেকে বায়নাপত্রে জায়গাটি ক্রয় করে কাইয়ুমের কাছে বিক্রি করেছি। মানিক সাহা প্রকৃত পক্ষে নিখিল সাহার কাছে ৫ শতক জায়গা পাওনা আছে। যদিও নিখিল সাহা এখন ওই জায়গা দিতে নারাজ।
জায়গা ক্রেতা আবদুল কাইয়ুম বলেন, আমি নিখিল সাহা কিংবা মানিক সাহার কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করিনি। আমি অহিদের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। অহিদ আমার জায়গা ক্লিয়ার করে দিয়েছে। আমি আমার ক্রয়কৃত জায়গায় বহাল রয়েছি। নিখিল সাহার সাথে মানিক সাহার কি সমস্যা তা আমার জানা থাকলেও বিষয়টি একান্তই তাদের।
স্থানিয়রা বলেন, জমির দালাল অহিদ তার লাভের কথা চিন্তা করে অসহায় মানিকের দুটি ঘরসহ সকল আসবাবপত্র, গাছগাছালি কেটে লুটপাট করে নিয়ে যায়। যা আধো নৈতিক বিষয় নয়। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত বলে তারা মনে করেন।