মোঃ রুহুল আমিনঃ বেঁচে থেকে জীবন যন্ত্রণার ছটফট হতে মুক্তি পেতে মানবতাবাদীদের আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন চাঁদপুরের শাহরাস্তির ছেলে আনোয়ার হোসেন মন্টু(৪০)। বিরোল রোগে আক্রান্ত এই আনোয়ার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত মজিবুল হক ও রোকেয়া বেগম দম্পতির বড় পুত্র।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক জন্মের পরেও একটু অসতর্কতায় ৫ বছর বয়সে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। এরপর চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ঔষুধ সেবনে তার পুরো শরীরে বিরোল রোগ দেখা যায়। পরবর্তীতে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে।
পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায়,আনোয়ার হোসেন মন্টু(৪০) বিয়ে করেনি। তিনি তার পরিবারে ২ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে সবার বড়। তার এক ভাই ও তিন বোনের কোন রকমে বিয়ে হলেও তার এই অবস্থার জন্য ছোট বোনেরও বিয়ে হচ্ছেনা। যদিও তিনি সরকারি সহায়তা হিসেবে সমাজসেবা কার্যালয় হতে ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু এই ভাতার টাকায় তার চিকিৎসা করা অসম্ভব।
এক সাক্ষাৎকারে আনোয়ার হোসেন মন্টু ‘হিলশা নিউজ’-কে বলেন, বাবা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। মা রোকেয়া বেগম বেঁচে আছেন কিন্তু তিনি বয়সের ভারে নুয়ে পরেছেন। এখন আমি সুস্থ্য না হলে বোনটারও বিয়ে দিতে পারছি না। তাই ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এমনটি ভেবে আমাদের সাংসদ মেজর রফিক, জেলা প্রশাসকসহ সমাজের মানবতাবাদীদের থেকে আমার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি। কেউ যোগাযোগ করতে চাইলে আমাদের পরিবারের ০১৭৪১৪৪২৪১৫(বিকাশ) এই নাম্বারে কল দিয়েও যোগাযোগ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোবায়েদুল কবির বাহাদুর ‘হিলশা নিউজ’-কে বলেন, আনোয়ার হোসেন মিন্টু আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার রোগটির কি নাম তা শনাক্ত হওয়া প্রয়োজন।কেননা রোগটি শনাক্ত হলেই আমরা বুজতে পারবো এটি নিরাময় যোগ্য কি-না? এবিষয়ে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ পাওয়া গেলে অর্থের প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে সামাজিকভাবে ও সরকারি সহায়তা পাবার ক্ষেত্রে আমরা উদ্যোগ নিবো।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন ‘হিলশা নিউজ’-কে বলেন, শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। তবে এ বিরোল রোগটি শনাক্তে ওই রোগীকে ঢাকায় প্রেরণ করা যেতে পারে।