... বিস্তারিত
শাহরাস্তিতে সরকারী চাল বিতরণে অনিয়ম;দূর্যোগ মুহূর্তেও থেমে নেই মেম্বারের অর্থলিপ্সুতা
রাফিউ হাসানঃ সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকার কর্তৃক জিআর প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। বিনামূল্যে চাল পেয়ে খুশি হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ। সরকারের এমন যুগান্তকারী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে দেশের সর্বস্তরের জনগন। এই কার্যক্রম চলমান থাকার কারনে মানুষের মধ্যে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্যতা। খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর এই ধারা অব্যহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইউনিয়ন চেয়্যারম্যানের মাধ্যমে চাল বিক্রয় কার্যক্রম অব্যহত রাখবেন।
কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে এবং চাল গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের মেম্বাররা সঠিক ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। এমনকি চাল বিতরণের সময় তারা অর্থ ছাড়া তাদেরকে চাল দিচ্ছেন না ও মেম্বার ওজনে চাল কম দিয়ে ঠকাচ্ছেন হতদরিদ্রদের, এমন অভিযোগও পাওয়া গিয়েছে।
৭ই এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম নিজের এলাকায় সরকারী জিআর প্রকল্পের চাল বিতরণের সময় জনপ্রতি ২০ টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। সরকারী বিনামূল্যের চালে তিনি কি কারণে টাকা নিলেন, তাই নিয়ে প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুজিবর রহমান নামে এক ব্যক্তি সর্বপ্রথম বিষয়টি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিনামূল্যে চাল পাওয়া গ্রহীতারা সকলেই টাকা প্রদানের বিষয়টি তিনি শেয়ার করেন।
এ বিষয়ে মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, জনপ্রতি ২০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি চাল প্রদানের সময় কারও কাছে থেকে কোনো প্রকার অর্থ গ্রহণ করি নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, সরকার বিনামূল্যে চাল দিচ্ছেন, আর আমরা ২০ টাকার বিনিময়ে তা কিনে নিতে হচ্ছে। দূর্যোগের এই মুহূর্তে আমরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েই চালগুলো নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মতো হতদরিদ্রের জন্য এতো কিছু করছে, কিন্তু আমাদের মেম্বার এসব টাকার বিনিময়ে আমাদেরকে দিচ্ছেন। আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে বলেছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সবুজ জানান, দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয় হতে ইউনিয়নের জন্য ৬৮ টন ও পৌরসভার জন্য ১৮ টন চাল উপজেলায় বরাদ্দ হয়েছে। তা সঠিকভাবে বন্টনের জন্য ইউনিয়ন চেয়্যারম্যান ও পৌরসভার মেয়রকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই দূর্যোগকালীন সময়ে যদি কেউ ত্রাণ বন্টনে অর্থের লেনদেন করে, তা নিশ্চিত গর্হিত কাজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, মেম্বার নজরুল ইসলাম বিনামূল্যে চাল বিতরনের সময় অর্থ নেওয়ার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছি।
